মলয় দে নদীয়া :-নদীয়ার শান্তিপুর শহরেব বছর খানেক আগে পেশায় অধ্যাপক ডঃ সোমনাথ কর তার ছাদ বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে লাল,সাদা ও হলুদ তিন প্রকারের ড্রাগনগাছ এনে ড্রামে চাষ শুরু করেন। তার দুটি গাছে ইতিমধ্যে ফুল ফল চলে এসেছে এক বছরের মধ্যেই। হলুদটিতে আশা করছেন কয়েক মাসের মধ্যে ফুল আসবে। ভীষণ মূল্যবান একটি ফল এই ড্রাগন। সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে এক বছরের মধ্যে এই ফল পাবেন এ টুকু নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল যা বর্তমানে আমাদের দেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ভারতে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এই ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।। ড্রাগন ফল সাধারণত তিন প্রজাতির হয়ে থাকে-
লাল ড্রাগন ফল বা পিটাইয়া। এর খোসার রঙ লাল ও শাঁস সাদা। এই প্রজাতির ফলই বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
কোস্টারিকা ড্রাগন ফল। খোসা ও শাঁস উভয়ের রঙই লাল। হলুদ রঙের ড্রাগন ফল। এই জাতের ড্রাগন ফলের খোসা হলুদ রঙের ও শাঁসের রঙ সাদা।
ড্রাগন ফলের গুরুত্বঃ
• ক্যারোটিন সমৃদ্ধ থাকায় চোখ ভালো রাখে।
• আঁশের পরিমাণ বেশি থাকায় হজমে সহায়তা করে। এছাড়া আঁশ শরীরের চর্বি কমায়।
• এই ফলে বিদ্যমান প্রোটিন শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত রাখে।ভিটামিন বি-৩ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক মসৃণ রাখে।
• ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বক , দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। বাড়িতে অল্প জায়গা বা ছাদে টবের উপরেই সামান্য যত্নেই বেকারদের মিলতে পারে জীবিকার সুলুক সন্ধান।