রায়গঞ্জঃ অস্থায়ী বাঁধ নয় তারকাটা এবং পাথর দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সরব এলাকার বাসিন্দারা। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের হাপতিয়া গছ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিতলঘাটা এলাকার বাসিন্দারা অবিলম্বে সেখানে স্থায়ী বাঁধ তৈরির দাবি তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার এবং বুধবার সেচ দফতরের কর্তারা পরিদর্শন করতে এলে গ্রামবাসীরা তাঁদের দাবির কথা জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলম জানিয়েছেন, প্রতিবছর বস্তা দিয়ে বাঁধ বানানো হয় এবং পরে তা জলের তোড়ে ভেঙে যায়। প্রতিবছরই এভাবে অস্থায়ী ভাবে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত হচ্ছে। এর জেরে সরকারিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে অথচ একবার সঠিকভাবে বোল্ডার ও তার কাটা দিয়ে স্থায়ী বাঁধ বানালে এই সমস্যার সমাধান হয়। তেমনি আতঙ্ক থেকে মুক্তি পান গ্রামবাসীরা। এদিকে নদীর জল ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠছে। তাতে ইতিমধ্যে বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। আর তাই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাপুর, চিতলঘাটা, কাজী গছ, আদ্রা গুড়ি সহ একাধিক গ্রামের প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে্ন। একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে বাঁধ ভাঙ্গার আতঙ্কে দিশেহারা সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলির বাসিন্দারা। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সেচ দপ্তরে জানানো হলেও সমস্যা সমাধান হয়নি। অবিলম্বে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। এলাকার বাসিন্দারা এর জেরে সবসময় আতঙ্কে থাকেন।
যদিও ইসলামপুর সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, সমস্ত বিষয়টি গ্রামবাসীদের লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তা জানানো হবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।