রায়গঞ্জঃ লকডাউনের মধ্যে কাজ করার জন্য রায়গঞ্জ পুরসভার সাফাই কর্মীদের প্রনাম করে সম্মান জানালেন পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। করোনা আতঙ্কের মাঝে সাফাই কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেইভাবে কাজ করছেন সম্মান জানাতেই হয় বলে মন্তব্য পুলিশ সুপারের।
অভিনন্দন পেয়ে উচ্ছ্বসিত সাফাই কর্মীরাও। লকডাউন কেমন চলছে তা সরজমিনে দেখতে শনিবার পুলিশ সুপার নিজেই রায়গঞ্জের রাস্তায় নেমেছিলেন। হেঁটে বেড়িয়েছেন শহরের এপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। করোনা সংক্রমণ রায়গঞ্জ শহর এলাকায় যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সেই আতঙ্কের মধ্যেই রায়গঞ্জ পুরসভার সাফাই কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখছেন।
শনিবার সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও তার অন্যথা হয়নি৷ শহরের বিভিন্ন এলাকায় আর্বজনা পরিষ্কার করার কাজ চালু রেখেছেন তাঁরা। শহরের অশোকপল্লীতে পুরসভার সাফাইকর্মীদের নজরে আসতেই সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েন পুলিশ সুপার। দুই হাত জড়ো করে সাফাই কর্মীদের প্রণাম জানান তিনি। পুলিশ সুপার আচমকা সেখানে দাঁড়িয়ে যাওয়াতে সাময়িক ভাবে কিছুটা ভয় পেলেও পরে স্বাভাবিক হন সাফাই কর্মীরা। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান,করোনা আবহে সাফাই কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন সেই কাজকে সম্মান জানাতেই হয়।
অন্যদিকে, লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে ইসলামপুর পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। শনিবার লকডাউনকে সফল করতে রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে জাতীয় সড়কে পুলিশি টহল ছিল জোরদার। যারা এই লক ডাউন অমান্য করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করার পাশাপশি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পথেই হেঁটেছে পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন কুমার জানিয়েছেন, মোট পঁয়তাল্লিশ জন গ্রেপ্তার হয়েছে ইসলামপুর পুলিশ জেলায়। তার মধ্যে চারজন চোপড়া থানার এবং চৌদ্দ জন রয়েছে চাকুলিয়া থানা এলাকার।