অঞ্জন শুকুল, নদীয়া: দুই চোঁখের আলো হারিয়েও মাধ্যমিকে নজিড় গড়লেন নদীয়ার বগুলার ছাত্রী রিয়া সরকার। ২০১৩ সালে মেনেনজাইটিসে ভুল চিকিৎসার চোঁখের আলো হারান রিয়া সরকার। তখন ক্লাস এইট এ পরে সে । এর পরেও পড়াশুনা বন্ধ করেনি। আর পাঁচটা ছাত্রীর মতো বগুলায় সাধারন বালিকা বিদ্যালয়ে পরেছেন। এইবছর পরীক্ষায় রাইটার নিয়ে বসেছিলেন। তাতেও ৬১৯ নম্বর পেয়েছেন তিনি। সববিষয়েই লেটার মার্কস পেয়েছেন এই মেধাবী ছাত্রী। ভালো রেজাল্ট করে সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছা তার। তার সঙ্গে হায়দ্রাবাদে চলছে তার চোঁখের চিকিৎসা। চিকিৎসা আর পড়াশুনা দুটোই একসঙ্গে চালাতে চান রিয়া সরকার। হাজার কষ্ট হলেও সায়েন্স নিয়ে পড়তে আগ্রহী। যদিও সায়ন্স নিয়ে তার পড়া হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারন সায়েন্স নিয়ে পড়লে প্র্যাকটিক্যাল করতে হবে। দৃষ্টিহীন হয়ে কিভাবে প্রাকটিকাল করবে তা নিয়েই ভাবছেন তিনি। যদিও তাতেও দমবার পাত্রী নন রিয়া।
নদীয়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তার বাবা শ্যামল কুমার সরকার। যদি অন্য কোনো বিশেষভাবে শারিরীক অক্ষমতা স্কুলে গিয়ে সায়েন্স পড়তে হয় তাহলেও পড়তে চায় রিয়া সরকার। মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে রিয়া। বাবা শ্যামল কুমার সরকার বগুলা রেল স্টেশানের স্টেশান ম্যানেজার। মা রীনা সরকার শিক্ষিকা। মেয়ের ভালো রেজাল্টে গর্বিত মা । তাই তিনিও তার মেয়েকে সায়ন্স পড়াতে বিশেষ আগ্রহী।