মলয় দে নদীয়া:- লকডাউনের আগেই পাকা কথা হয়েও সরকারি নির্দেশ মেনে বাতিল হয় পরপরদুটি বিয়ের তারিখ। আর দেরি নয়! শুভস্ব শীঘ্রম, প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চার হাত এক করতে নিমন্ত্রিত সংখ্যা অর্ধেক করে চারহাত এক করলেন পুরোহিত মনোতোষ চক্রবর্তী। অবশ্য তার প্রথম শর্ত ছিলো মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে প্রত্যেককে।
তাতেই রাজি হয়ে নদীয়ার গোবিন্দপুর ঘোষ পাড়া নিবাসী বিশ্বজিৎ ঘোষ আজ গলায় দড়ি বটতলায় নিজ বাসভবনে ঘোষপাড়ার সকল মহিলারা জামাই বরণ ডালায় তুলে নিলেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক শ্যালক শালিকারা প্রধান দরজা আটকানোর রীতির উদ্দেশ্যই ছিলো বরযাত্রী সহ সকল আমন্ত্রিতদের মুখে মাস্ক আছে কিনা তা দেখার জন্য, পরিবারের ক্ষুদে সদস্যরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেলো। ছাতনা তলা থেকে খাওয়ার জায়গা সবখানেই বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধির কথা লেখা, ভিড় করে বিয়ে দেখা তাও বন্ধ । ছাতনা তলার পাশে দশটি চক দিয়ে গোল বৃত্তের মধ্যে অবস্থানকারীরা বেরোলে, তবে সুযোগ পাবেন অন্যরা। পাত্রী দীপান্বিতার বন্ধু-বান্ধবী আত্মীয় পরিজন সকলেই গুটি গুটি পায়ে প্রথমেই খাবার টেবিলে, তারা জানালেন সন্ধ্যায় খাওয়ার অভ্যাস নেই তবুও ভিড় এড়াতে এটাই সহজ উপায়। সেজেগুজে মেকআপ করে সেলফি তোলার সময়ও চোখে পড়লো অভ্যাস জনিত মুখবন্ধন। ক্যাটারিং স্টাফ, মাইক লাইট নিয়ন্ত্রণকারী সকলেই সজাগ করোনা আতঙ্কে। নদীয়ার বাহাদুরপুর এর পাত্র সুভাশীষ ঘোষ অনুপ্রাণিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন বউ ভাতে শ্বশুরবাড়ির স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতা কে টেক্কা দিতে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যাবস্থা রাখবেন তিনি খাদ্যতালিকাতেও যোগ হতে পারে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর দু-একটি উপকরণ।