সোশ্যাল বার্তা: পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগের জায়গায় যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছেন । তবু ভয় না পেয়ে সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করে চলেছেন ,চিকিৎসক , নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ প্রশাসন । সামনে থেকে ক্রমশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।করোনা মোকাবেলায় সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও রয়েছেন সাংবাদিক, ডাকবিভাগের কর্মী, এম্বুলেন্স ড্রাইভার সহ অন্যান্যরা। বতর্মানে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করে মানুষের কাছে তুলে ধরছেন। সবাই যখন ঘরে, তখন সাংবাদিকরা বাইরে বেরিয়ে খবর সংগ্রহ করেন। কোথায় কবে করোনা পজিটিভ কেস হচ্ছে, সেটাও ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ।
বুধবার নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর আনন্দধারা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যের খ্যাতনামা সংবাদপত্রের ১৪ জন নদিয়ার সাংবাদিককে কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিসের মোড়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের হাতে চারাগাছ,মেডেল,ক্যাডবেরি এবং শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও করোনা যোদ্ধা হিসেবে শহরের জেলা হাসপাতালের ৩ জন এম্বুলেন্স চালক এবং ভারতীয় ডাকবিভাগের গ্রামীণ ডাকঘরের ২ জন ডাক কর্মীকেও গতকাল সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
১ লা জুলাই চিকিৎসক দিবস হিসেবে শহরের ৭ জন প্রখ্যাত চিকিৎসককেও সংবর্ধনা দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর আনন্দধারার পক্ষ থেকে। তাঁদের হাতেও তুলে দেওয়া হয় শংসাপত্র, মেডেল,পেন,চারাগাছ এবং ক্যাডবেরি।
সংগঠনের সম্পাদক কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী শ্রী রাজু পাত্র বলেন, “করোনা যোদ্ধা হিসেবে সাংবাদিক বন্ধুরাও একদম সামনে থেকে লড়াই করছেন এবং সঠিক খবর পরিবেশন করছেন বলেই আমরা ঘরে বসেই খবর দেখতে পাই তাই এই সম্মান তাঁদের প্রাপ্য।এছাড়াও রয়েছেন এম্বুলেন্স চালক,ডাকবিভাগের কর্মী। তাঁরাও করোনা যুদ্ধে সামনের সারিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন পেশার কর্মচারী আছেন যাঁদের আগামীতে আমরা সংবর্ধনা জ্ঞাপন করবো বলে আশা রাখি।”
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই সংবর্ধনা পেয়ে খুশি সাংবাদিকরা । সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “কৃষ্ণনগর আনন্দধারা”র সদস্যদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয় ।