মলয় দে, নদীয়া:- “সমাজের কথা ভেবে লকডাউনে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি ছিলাম, কিন্তু দেশের কথা ভেবে এবার নেমেছি পথে ” একটি পা নিয়ে ক্র্যাচের উপর ভর করে চীনা প্রেসিডেন্টের কুশপুত্তলিকাতে আগুন দিয়ে শহীদদের প্রতিশোধ নিলেন ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ সুজন দত্ত।
হুইল চেয়ারে বসেই চায়না মজুমদার ও তার সহযোগীরা তাদের প্রিয় হেডফোন, মোবাইল চার্জার, নেল পালিশ, লিপস্টিক ওই আগুনে নিক্ষেপ করে চোখ মুছতে মুছতে জানালেন “শহীদ সেনাদের প্রতিশোধ নিতে আমরা প্রস্তুত। এতদিন না জেনে ব্যবহার করেছি চীনের তৈরি জিনিস টাই সাইকেলে চলাফেরা করা অভিজিৎ দাস এবং এইরকম 40 জন শান্তিপুর লাইব্রেরী মাঠ থেকে আজ সকাল দশটায় ডাকঘর নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করে শপথ নিলেন সমাজের সকল স্তরের মানুষকে নিয়ে জোট বাঁধার।
পায়েল, রুমকি, রত্না, সঞ্জীব, অর্জুন, সাধনদের মত যুবক-যুবতীরা ভারতের পতাকা হাতে বীর সৈনিকদের সম্মান জানাতে শান্তিপুরের রাজ পথে হাঁটলেন তাদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েও। জন্ম থেকেই মূক এবং বধির পামি সাধুকা ভারতমাতা সেজে হাতে ভারতের পতাকা নিয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সকলকে।
এভাবেই শান্তিপুরে “প্রতিবন্ধন” এর সদস্যরা সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে দিলো সব ভেদাভেদ ভুলে জোটবাধার সময় এসেছে এবার।