মলয় দে নদীয়া :-লক ডাউনে যেতে না যেতেই বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের খবার পাওয়া যাচ্ছে । নদীয়াজেলা ফুলিয়ার প্রফুল্লনগরের জ্যোতিপল্লী নিবাসী পরিতোষ কুন্ডু প্রতিবছরই এই সময় শান্তিপুরের বাথনা, গোবিন্দপুর, এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে প্রফুল্ল নগর এ অস্থায়ী আমের আড়ত করেন। শান্তিপুরের বিভিন্ন প্রান্তের বাগানের আম চাষিদের কাছ থেকে কিনে, তা কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠান। গতকাল দুপুর তিনটে নাগাদ নিজস্ব বাড়িতে লোকনাথ পুজোয় ব্যস্ত ছিলেন , কর্মচারীদের কাছ থেকে হঠাৎ ফোন আসে, একদল দুষ্কৃতী ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে, এবং ক্যাশ বাক্স ভেঙে টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। পরিতোষ বাবু সাথে সাথে শান্তিপুর থানার ওসি সুমন দাস কে বিষয়টি জানিয়ে , তড়িঘড়ি আড়তে চলে আসেন কোনরকমে।
আগত পাঁচজনের মধ্যে কর্মচারীরা চিনতে পারে স্থানীয় দুজনকে। অভিযোগ আড়তের কর্মচারীদের মারধোর করে ওই দলটি। পরিতোষ বাবু জানান, “আম কেনার জন্য দিনে অন্তত কুড়ি বার পেমেন্ট দিতে হয় চাষীদের। তাই একটি হাতব্যাগে, এবং রাস্তার পাশে অস্থায়ী একটি সাধারন ক্যাশবাক্সে ৫-৬লক্ষ টাকা সব সময় থাকে। আজ সকালে তিনি শান্তিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দুজনের নামে, মৌখিকভাবে আরো তিনজনের নাম তিনি জানান। শান্তিপুর থানার প্রশাসন একজনকে আটক করেছে, অন্য জন পলাতক।”
বিশেষ সূত্রে জানা যায় পলাতক ব্যক্তি প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ভাই। জুয়া সাট্টা চালানো সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার নামে। প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে দেখছে বিষয়টি।