মলয় দে নদীয়া:- শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থাকায়, প্রায়ই বিভিন্ন রাজ্য থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে ফিরতে দেখা যাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের।
আজ সকাল ১০টা নাগাদ মুম্বাইয়ের থানে থেকে একটি লরিতে প্রচন্ড ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে পাঁচদিনের পথ পেরোনোর পর শান্তিপুর থানা এলাকায় প্রবেশ করে । বিষয়টি শান্তিপুর থানার নজরে আসে । কর্তব্যরত শান্তিপুর থানার পুলিশ আধিকারিক এসআই অশোক ঘোষ লরিটিকে আটকান ।
শান্তিপুর থানার ওসি সুমন দাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের সামান্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা করে পৌঁছে দেন শান্তিপুর ব্লক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ফুলিয়ায় করা হয় স্ক্রিনিং টেস্ট ।
লরি চালকের কাছ থেকে জানা যায়, কিছু কাঁচামাল নিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে বোম্বেতে যান ১৫ দিন আগে । লরিটি খালি ফিরবে! তাই জেলার মানুষের বিপদে ভাড়া না নিয়েই পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নেন তিনি।
পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৮-১০জন বাচ্চা, ৭-৮জন মহিলাও রয়েছেন।
তারা মুম্বাইয়ের থানে এলাকায় রাজমিস্ত্রি, হোটেল কর্মী, পাইপলাইনের, পরিচায়িকা সহ নানান কাজ করতেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে জানা যায় তাদের টাকা পয়সা সমস্তটাই শেষ! রাস্তায় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পুলিশকর্মীদের সহযোগিতায় কোনরকমে জুটছে এক বেলা খাওয়া। উল্লেখ্য এর আগেও শান্তিপুর থানার পুলিশ শ্রমিকদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর খাদ্য সামগ্রী দিয়ে নিজের জেলায় পৌঁছে দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ।