মলয় দে, নদীয়া:-ছোট বড় মাঝারি যেমনই ব্যবসা হোক না কেন! সিদ্ধিদাতা গণেশের আশীর্বাদ মেলে বছরে একবার। সারাবছর “কোনরকমে চলছে” বলা ব্যবসায়ীদেরও আবেগী হয়ে খরিদ্দারকে খুশি রাখতে নানা উপঢৌকনের ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়।
সারাবছর ব্যবসায়িক নানা বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে , হাল ফেরাতে গজাননের জুড়ি মেলা ভার! এমনটাই বিশ্বাস করে ব্যবসায়ী মহল। ৩৬৫ দিন বাদে এরকম এক দিনের অপেক্ষার অন্তীম লগ্নে “লকডাউন”, ভক্তের সাথে গৃহবন্দী সিদ্ধিদাতাও, অবশ্য এ ব্যাপারে সিদ্ধিদাতা কোনো হেলদোল না থাকলেও, তার বাহন ইঁদুরের কিন্তু পোয়া বারো! দীর্ঘদিন বন্ধ দোকানে ছানাপোনা পরিবার নিয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য চালাতে পারছে একান্তে নিরিবিলিতে।
পয়লা বৈশাখে রেড অ্যালার্ট, অক্ষয় তৃতীয়ায় ছিল অরেঞ্জ এলার্ট, কিন্তু বুদ্ধ পূর্ণিমা তে রাস্তায় বেরোনোর পর, প্রশাসনিক বাধা না আসায় ব্যবসায়ীগণ বুঝেই গেছেন “সবুজ সংকেত”। তাই অন্তিম সুযোগটি হাতছাড়া করতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা।
আজ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মত, শান্তিপুর সিদ্ধেশ্বরী মাতার মন্দিরে পুজো লক্ষ্য করা গেল বেশ, তবে অবশ্যই ভক্তদের পারস্পরিক দূরত্ব, মুখে মাক্স, হাত সানিটাইজ করার সাথেই।