মলয় দে নদীয়া :- লকডাউনে কর্মহীন প্রান্তিক পিতার নুন আনতে পান্তা ফুরায়! তার উপর শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী সন্তান হলে তো কথাই নেই! অথচ তারা তো শিশু, তাই শিশুমন সদাখুশি রাখতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক এবং এন এস এস- এর প্রোগ্রাম অফিসার সুমিত ঘোষ সাইকেলে চেপেই বেড়িয়ে পড়েছেন করোনা সচেতনতা অভিযানে সাথে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, অবশ্যই শিশুদের প্রিয়৷
নদীয়ার শান্তিপুরের সূত্রাগড়ের বাসিন্দা সুমিতবাবু সাইকেলে চেপে কাগজের পোস্টার তৈরী করে তাঁর এক ছাত্রকে সাথে নিয়ে ঘুরছেন বিভিন্ন জায়গায় ৷ সাথে রেখেছেন বিস্কুট , দুধের প্যাকেট, শিশুদের পুষ্টিকর হেলথ ড্রিংকস, ডিম সোয়াবিন কাঁচা ছোলা, মুড়ি, লজেন্স আরো কত কি৷ ক্ষুধার্থ মানুষ দেখলেই তিদের দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন ৷ কখনো বা প্রচার আবার কখনো শুকনো খাবার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন অসহায় মানুষদের পাশে ৷ কখনো ইটভাটায় কখনো পথের প্রান্তে ক্লান্ত পথিকের সহযোগিতায়।
আজ শান্তিপুর “প্রতিবন্ধন” সংস্থার ৫০ জন এ ধরনের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের হাতে তুলে দিলেন নানা পুষ্টিকর খাদ্য দ্রব্য। তিনি জানান ,” অন্তত একসপ্তাহ “শিশুরা থাকুক দুধে ভাতে” ওদের শারীরিক নানা সমস্যা রয়েছে, তার ওপর সংসারে আর্থিক অনটনের চাপ! কর্মহীন বাবা কোথায় পাবে পুষ্টিকর খাদ্য? কলেজের ছাত্র পড়ানোর কাজের চাপে ফুরসত মেলেনি সমাজসেবার! তাই এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনা একদিনও লকডাউনের মধ্যে। সরকারি মাইনে পাবো ছুটির মধ্যেও, সরকারের খানিকটা কাজ না হয় করলামই এভাবে, ক্ষতি কি?”