নিউজ সোশ্যাল বার্তা: লক ডাউন চলছে চারিদেকে নিস্তব্ধ । ঘড়িতে ঠিক রাত পৌনে বারোটা। সাংস্কৃতিক সংগঠন উড়ান এর অন্যতম সদস্য অনুপ বিশ্বাসের কাছে ফোন আসে নদীয়া জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন ও সদ্য মা হয়েছেন সুবর্ণ বিহার এর অপর্ণা দেবী । ভীষন অসুস্থ, রক্তের প্রয়োজন। হঠাৎ করে রক্ত দরকার হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকজন।
হাসপাতালে যোগাযোগ করে জানা যায় রক্ত রাতেই দরকার, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শেষ পর্যন্ত পাওয়াও গেলো রক্তদাতা। মুমূর্ষু মায়ের রক্ত দিতে রাজি হয়ে গেলেন যুবক অমিত হালদার কিন্তু এত রাতে কিভাবে যাবেন হাসপাতাল ? সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য রাজি হয়ে যান ওয়েবস্টারের কৃষ্ণনগর এর সদস্য শুভঙ্কর ঘোষ ।
তাঁরা মাত্র ২৫ মিনিট এর মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে যান । রোগীর আত্মীয়রা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। তাদের মুখটা ওই সময় সামনে থেকে না দেখলে বোঝানো যায় না বোধহয় শুধুমাত্র শব্দ-কথায়! রক্ত দিলেন অমিত হালদার ।
রক্ত দিয়ে তাঁরা ফিরে যান । রক্তদানের কথা জিজ্ঞেস করতেই অমিত বাবুর ছোট্ট উত্তর, ” আমি কৃতজ্ঞ এই সুযোগটা পেয়ে।”
বিভিন্ন সংগঠন ও সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন স্থানের মানুষের পক্ষ থেকে অমিত বাবুকে ভালোবাসা ও অভিনন্দন জানানোর বার্তা আসতে থাকে গভীর রাতে এই অসাধ্য সাধন করার জন্যে।
অমিত বাবু নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের সাংস্কৃতিক মঞ্চ উড়ান এর সদস্য । উড়ানের একজন সদস্যের কথায় ‘টিম উড়ান গর্বিত অমিতদের মত ছেলে-মেয়েদের পেয়ে যারা সাংস্কৃতিক জগতের পাশাপাশি বর্তমানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মানুষের কল্যাণে।”