মলয় দে নদীয়া:-“আপন ভালো পাগলেও বোঝে” আর তা যদি কেউ না বোঝে তার জন্য চিত্রগুপ্ত খাতায় নাম লিপিবদ্ধ হচ্ছে শান্তিপুরের রাজপথে। সাথে যমরাজ তালিকাভুক্তদের একবার সুযোগ দিচ্ছে সরকারি নিয়ম মেনে গৃহবন্দী থাকার জন্য। দুই করোনাসুর যমরাজের কাছে পৌঁছে দিতে ধরতে চেষ্টা করছে অবাধ্য পথচলতি মানুষ, সাইকেল চালক, মোটর সাইকেল চালক কে।
ঠিক এমনই এক অভিনব সচেতন বার্তা আয়োজন করল বহুরূপী জীবন্ত মডেল কল্যাণ সমিতি। সভাপতি রাজেশ ব্যানার্জি জানান “বাংলার বিভিন্ন স্থান বাদেও শান্তিপুর শহরের প্রায় ২০০০ বহুরূপী শিল্পী সুদূর আসাম গোহাটি রাঁচি বিভিন্ন স্থানে পাড়ি দেন পেশার টানে। কিন্তু লক ডাউন এর কারণে আমরা কর্মহীন। তাই আমাদের শৈল্পিক চিন্তাভাবনা। করোনা মোকাবেলায় একমাত্র দাওয়াই মানুষকে গৃহবন্দি রাখতে, সরকারি প্রচার এর মাত্রা তীব্রতর করতে আমাদের এই আয়োজন।
সম্পাদক প্রশান্ত প্রামাণিক জানান ” আইনি গেড়োর ফাঁসে প্রশাসন নরমে-গরমে কোনভাবেই বাগ মানাতে পারছেন না এক অংশের মানুষকে, ফলে গৃহবন্দী থেকে অনেকের সমাজের জন্য আত্মত্যাগের মানসিকতা নষ্ট হচ্ছে। যদি ধর্মীয় অনুশাসনে মানুষের সচেতন বাড়াতে পারি, তারই একটি প্রচেষ্টা আমাদের তরফ থেকে।”
বুধবার সকালে শান্তিপুর গোডাউন মাঠ থেকে শুরু করে শান্তিপুর ডাকঘর মোড় পর্যন্ত এভাবেই রাস্তার দু’পাশ দিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেন এই বহুরূপী সংস্থা। নিয়ম মেনেই ছয়জনের এই দলটিকে প্রশাসনিক সহযোগিতা করা হয় শান্তিপুর থানার পক্ষ থেকে। স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্যকে কিছুক্ষণের জন্য হাঁটতে দেখা গেল শিল্পীদের সাথে।