লুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও প্রাণীদের ছাত্রছাত্রীদের সমক্ষে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে স্কুলের দেওয়ালে চলছে ছবি আঁকা

Social

মলয় দে নদীয়া:- এ পৃথিবীতে সকলেরই বাঁচার সমান অধিকার থাকা সত্ত্বেও প্রাকৃতিক কারণ হোক বা মনুষ্যসমাজের কুপ্রভাবে গঙ্গার শুশুক, বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ এবং মাছ, বনরুই, ভোঁদড়, চামচিকে, চড়ুই পাখি, চামচিকে, কাঠঠোকরা, ফিঙে পাখি, বিভিন্ন কীটপতঙ্গ ক্রমশ অবলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে। অথচ খাদ্য শৃংখল চক্রে প্রত্যেকের সমান গুরুত্ব। একটি শ্রেণী সম্পূর্ণ অবলুপ্ত হয়ে গেলে প্রভাব পড়ে অপর প্রাণীকুলের উপর । এরমধ্যে মন্থর ভাল্লুক ডাইনোসরের মতো বেশ কিছু প্রাণী আজ শুধু ছবিতেই সীমাবদ্ধ। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা প্রকৃতি পরিচয় নিতে গেলে চাক্ষুষ করার কোন ব্যবস্থাই নেই আর।

শুধু প্রাণী নয়, বেশ কিছু উদ্ভিদ আছে যাদের অবলুপ্তির ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হতে চলেছে। তবে মনুষ্য সমাজের সচেতন চিন্তাভাবনা এবং মহানুভবতায় এদের রক্ষা করা সম্ভব। আর তার একমাত্র উপায় আগামী প্রজন্মের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিভিন্ন প্রাথমিক মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সংরক্ষণের দায়িত্বভার দেওয়া এবং তাদের অবগত করানো। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জীব-বৈচিত্র পর্ষদ এইরকমই বিভিন্ন লুপ্তপ্রায় প্রাণী উদ্ভিদ কীটপতঙ্গের ছবি আঁকার ব্যবস্থা করেছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের দেয়ালের বাইরে। সেখানে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের চোখে পড়বে ঠিক তেমনি অভিভাবক এবং পথচলতি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার আগ্রহ সৃষ্টি করবে। নদীয়া জেলার তন্তুবায় সংঘ হাই স্কুলের দেওয়ালের বাইরে এইরকমই বিভিন্ন ছবি আঁকার কাজ চলছে।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তথা নোডাল অফিসার অভিজিত বানিক জানান, বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় একটি বিজ্ঞান মেলায় গিয়ে জীব-বৈচিত্র পর্ষদের স্টলে এ বিষয়ে জানতে পারি , সেই মতন আমাদের বিদ্যালয় সদস্যপদ গ্রহণ করে। এরপর ছাত্র-ছাত্রীদের একটি প্রাকৃতিক শিক্ষামূলক ভ্রমণ সম্ভব হয়েছিল তাদের অর্থনৈতিক আনুকূল্যে। সানি লিওন এবারেও দেওয়াল সমস্ত ব্যয় ভার তারাই গ্রহণ করেছেন তবে, বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীও যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।২০১৯-২০২০ সালের সময়সীমা বরাদ্দ থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে বেশ খানিকটা পিছিয়ে যায়, তবে এবারে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply