মলয় দে নদীয়া:-নদীয়ার শান্তিপুরের বেজপাড়া মাঠ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক সমর ভট্টাচার্যের বাড়িতে গতকাল থেকেই তিনটি পেঁচা দেখা যায় ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও ওই স্থান থেকে কোথাও যায়নি পেঁচা গুলি তার কারণেই খুবই চিন্তিত শিক্ষক সমর ভট্টাচার্য্য সহ এলাকাবাসী ।
এ বিষয়ে সমর ভট্টাচার্য জানান, কাল বিকেল থেকেই তিনটি পেঁচা বাড়ির চারপাশে ঘোরাফেরা করছিল সকাল হলেও ওই একই জায়গায় আছে । তার কাছে বনদপ্তর এর ফোন নম্বর না থাকায় জানানো হয় শান্তিপুর থানা কে। তার দাবি, বনদপ্তর থেকে যদি পেঁচা তিনটি উদ্ধার না করে তাহলে রাতে ওই এলাকায় বিড়াল ও ভাম বিড়ালের খুবই আনাগোনা আছে ফলে পেঁচা গুলির মৃত্যু অনিবার্য ।সেই কারণে ওদের উদ্ধার করা খুবই দরকার।
বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এই ধরনের কাজ করানো হয় শান্তিপুর সাইন্স ক্লাব এর সদস্য অনুপম সাহাকে দিয়ে। কিন্তু আজ লকডাউন এরমধ্যে অনুপম বাবু কে জানানো হলে তিনি জানান বনদপ্তর অথবা প্রশাসনিক নির্দেশ না পেলে, বিধি ভঙ্গ করে যেতে পারবেন না তিনি।
শিক্ষক সমর বাবু, কৃষ্ণনগর রেঞ্জ অফিসে ফোন নাম্বার জোগাড় করে জানান । বিস্তারিত জানান এবং এমত অবস্থায় কি করবো জানতে চান । প্রথমে লকডাউনের কারণে যাতায়াতের অসুবিধার কারণে পাখি তিনটি উড়িয়ে দিতে বলা হয়। সমরবাবু জানান দুটি ছোট পাখি উড়তে পারে না! রেঞ্জ অফিসার বলেন কৃষ্ণনগরে জায়গা না থাকায় পাঠাতে হবে কলকাতায় এমত অবস্থায় তা কি করে সম্ভব!
অবশেষে বিকাল পাঁচটা নাগাদ সংস্থার সদস্য সেই অনুপম সাহা এসে উদ্ধার করে নিয়ে যান তিনটি পেঁচাকে।