মলয় দে নদীয়া:-নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হিজুলী গ্রামের শতাধিক কুমড়ো চাষির মাথায় হাত। চার মাস ধরে সুদে টাকা নিয়ে, দিনরাত এক করে সন্তানসহ প্রতিপালন করে উৎপাদিত হয়েছে কুমড়ো। লকডাউন এর জেরে পরিবহনে কোন অসুবিধা না থাকলেও কলকাতার বিভিন্ন আড়তে ফোড়ে বা ছোট ব্যবসায়ী গৃহবন্দীর কারণে ক্রেতা হিসেবে আসতে পারছেন না। ফলে আড়ত গুলিতে পচে যাচ্ছে কুমড়ো। কৃষকরা দাম না পাওয়ায় পাঠাচ্ছেন না ফসল ফলে জমির পাশে রাখা জায়গায় জমাকৃত একটি কুমড়ো থেকেই পচন হচ্ছে অন্যগুলো।
একটি লরিতে ছয় টন অর্থাৎ দেড়শ মন কুমড়ো আড়তজাত করলে মেলে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা অর্থাৎ তিন সাড়ে তিন টাকা কেজি। অথচ পরিবহনের জন্য লরির ভাড়া লাগে ৫০০০ টাকা, জমি থেকে কুমড়ো নিয়ে আসা সেটা লরিতে সাজানোর জন্য লেবার চার্জ লাগে প্রায় ২০০০ টাকা।
অন্যদিকে এক বিঘা জমিতে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা খরচ করে ৭০ থেকে ৭৫ মন কুমড়ো ফলে যার বাজার দর ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা । তার উপরে পরিবহনের এত বড় খরচ সামলাতে পারছেন না চাষিরা। হিজুলি ঘোষপাড়া মুসলিমপাড়া বাগদি পাড়ার দীপঙ্কর ঘোষ সুকুমার ঘোষ রাম চাঁদ ঘোষ, ইব্রাহিম শেখ দের মত শতাধিক চাষীর মাথায় হাত।