প্রীতম ভট্টাচার্য্য,নদীয়া : শৈশব আজ বিপন্ন। শহরের অলিতে গলিতে ও গ্রামের মোরাম রাস্তায় রঙ আজ ফিকে। বসন্তে আবিরের গন্ধ এখন করোনায় বদ্ধ। শিশু মনে পাবজি আর ফোরজি, মাঠের ঘাসে আলতো পা আর পড়েনা। পরিবেশ আজ বিশাক্ত।কোথায় যেনো ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে বিশ্বায়নের থাবায়।
ন্যড়াপোড়া এখন গল্পকথা। চারদেওয়ালে বন্দী শৈশব, ন্যাড়াপোড়া সে আবার কি? খায় না মাথায় দেয়। আলপথে হুটোপুটি তারপর ছোলাগাছ তোলা তারপর সেই ছোলাগাছ পুড়িয়ে খাওয়া, কাঁচা পেঁপের ভেতর রঙ পুরে কুমকুম তৈরী, বিচুলি, মাটির হাঁড়ি, পুরোনো জামা, বাঁশের গায়ে লাগিয়ে সারা রাস্তায় ঘোরা এ স্বাদের এক অন্যরকম আবেগ। সে আবেগে আজ ন্যাড়াপোড়া বিলুপ্তির পথে।
নতুন প্রজন্ম পিঠে রোদ্দুর মেখে ডিপি দিতে ব্যাস্ত মুঠোফোনে।বসন্ত আজ সত্যিই বিপন্ন ডিজের তালে। আর এই ন্যড়াপোড়া কে বাঁচিয়ে রাখতে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের উকিলপাড়ার সাক্ষী গোপাল মন্দিরে মহাধুমধামে পালিত হয় ন্যড়াপোড়া উৎসব। এখানে গোপাল কে নতুন বসনে সাজানো হয়, রঙ পিচকারি, মিষ্টান্ন, আবির উৎসর্গ করা হয় নিষ্ঠা সহকারে। বলা হয় ন্যাড়া রাক্ষস কে বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ আর তাই দোল উৎসবের সূচনা।
এখানে গোপাল বাড়ির সকলের আদরের, তাই তার আবদারে হয় ন্যাড়াপোড়া। বাড়ির সকল সদস্যদের সাথে শহরের বহু মানুষ এই উৎসবে সামিল হন। উকিলপাড়ার সাক্ষী গোপাল মন্দিরে মহাধুমধামে পালিত হয় ন্যড়াপোড়া উৎসব। এখানে গোপাল কে নতুন বসনে সাজানো হয়, রঙ পিচকারি, মিষ্টান্ন, আবির উৎসর্গ করা হয় নিষ্ঠা সহকারে। বলা হয় ন্যাড়া রাক্ষস কে বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ আর তাই দোল উৎসবের সূচনা। এখানে গোপাল বাড়ির সকলের আদরের, তাই তার আবদারে হয় ন্যাড়াপোড়া। বাড়ির সকল সদস্যদের সাথে শহরের বহু মানুষ এই উৎসবে সামিল হন।