মলয় দে নদীয়া:-নদীয়া জেলার শান্তিপুর গঙ্গা পার্শ্ববর্তী এলাকা হরিপুর, গয়েশপুর, বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের বেশ কিছু জায়গায় রাতের অন্ধকারে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে প্রতি রাতে চুরি যায় চাষীর ফসল, চাষের জমি র মাটি।
কিছুদিন আগেই মাটি দিবস ঘটা করে পালিত হলো সারা রাজ্যে। কিন্তু কজনই বা খবর রাখি চাষের মাটি চুরি, মহিলার শ্লীলতাহানি থেকে কোন অংশে কম নয়। এইজন্য জমি গুলি, নিচু হয়ে যাওয়ার ফলে গঙ্গা ক্রমশ ধুয়ে আসতে থাকে চাষের দিক জমির দিকে। তলিয়ে যায় চাষের জমি। কর্মহীন হয়ে পড়ে কৃষক, অসহায় হয়ে পড়ে তার পরিবার।
চাষিরা সারা রাত পাহারা দেয় তাদের মাটি। কিন্তু মাফিয়াদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। কয়েক মাস আগে মাটি চুরি ঘটনায় প্রশাসনকে জানাতে, চাষীদের ই ৫ জনকে আটকে রেখেছিল থানায়। অথচ মাটি র নৌকা ধরা পড়লে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যায়! এমনটাই অভিযোগ হরিপুর অঞ্চলের বড় ডাঙ্গাপাড়া, মেথির ডাঙ্গা অঞ্চলের চাষিদের।
কিছুদিন আগে, পাঁচটি মাটি ভর্তি নৌকা ধরা পড়লেও, দু-একদিনের মধ্যে আবারো সেই নৌকাগুলি করেই যথারীতি রাতের অন্ধকারে আবারো মাটি কেটে চলেছে নিয়মিত।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুমিতা তরফদার জানান, প্রশাসনিক প্রত্যেক উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে “বহুবার গ্রামবাসীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে, কিন্তু কোন সুব্যবস্থা এখনো পাইনি চাষীরা। এই অঞ্চলে মেম্বার আমাকে করার বিষয়ে তাদেরই বড় অবদান। অথচ আমি কিছু করতে পারছি না।”
আজ শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মেথির ডাঙ্গা এলাকার উত্তেজিত সর্বস্বান্ত কৃষকের দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে। তারা আজ সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত দু ঘণ্টা অবরোধ করে শান্তিপুর থেকে কানলা ঘাট যাওয়ার প্রধান সড়কটি।
ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার ওসি মুকুন্দ চক্রবর্তী উপস্থিত হন। বেশ খানিকটা আলোচনার পর, মাটিকাটা চাষের জমি পরিদর্শন করেন, কথা দেন ১০ দিনের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি।
এলাকার প্রায় ১৫০ জন চাষী অংশগ্রহণ করে এই অবরোধে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। আবারো কয়েকদিন বাদ থেকেই শুরু হবে মাটি মাফিয়া রাজ। অথচ প্রশাসন ইচ্ছা করলে একরাত্রির প্রচেষ্টায় ধরতে পারে মূল চক্রকে। প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানান চাষীরা ।