মলয় দে নদীয়া:- বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাড়িতে থেকেই সংসারের ফাঁকে রোজগারের মাধ্যমে সংসারকে সচ্ছল করা র সদিচ্ছাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করেছে “জাগোবাংলা” প্রকল্প।
সারামাসে জমাকৃত টাকা নিজেদের মধ্যেই সকলের সম্মতিতে স্বল্প সুদে লোন দেওয়ার ব্যবস্থা, টেলারিং, বিউটিশিয়ান, নিজেদের উৎপাদিত ডালের বড়ি বিক্রি সহ নানা বিষয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে বাড়ির মা-বোনেরা।
আজ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতীকী পাঁচটি গোষ্ঠীর হাতে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য তুলে দেন ৫০০০ টাকার চেক, বাকি ২৮৫ টি গোষ্ঠীর ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে গেছে এই টাকা। এই অর্থ সহযোগিতা মূলত গোষ্ঠীর বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের জন্য বিনা পরিশোধযোগ্য। এছাড়াও মেলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড যার মাধ্যমে সারা বছর বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত সহযোগিতা।
স্বভাবতই খুশির হাওয়া মহিলা মহলে। তার ওপর বাড়তি পাওনা রাজ্যের কর্মদক্ষতায় এবং স্বচ্ছতায় মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে শান্তিপুরের দুটি সমবায় ব্যাংক। এ বিষয়ে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য জানান মহিলারা স্বল্প ব্যয়ে, স্বচ্ছতার সাথে ধৈর্য ধরে সংসার সামলানোর মতই সামলাতে পারেন প্রশাসনিক দায়িত্ব। তাই আমার বিধানসভার অন্তর্গত ছটি পঞ্চায়েতে প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এমনকি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও মহিলা।”
আগামী পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে কার্যত প্রচার শুরু করে দিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য, তার বক্তব্য অনুযায়ী এরাজ্যে বসবাসকারী সকল সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা মেলে জনসাধারনের। সুতরাং সেই সরকারকে নিজেদের প্রয়োজনে রক্ষা করার দায়িত্ব সাধারণ মানুষের।