মলয় দে নদীয়া;-নদীয়া শান্তিপুর চাকফেরা গোস্বামী বাড়ি মঞ্চে গতকাল আয়োজিত হয়েছিল নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পিয়ন, ড্রাইভার, সিকিউরিটি, হাউসকিপারের দায়িত্ব সামলানো বিভিন্ন কর্মী শমিক গন।স্থায়ী কর্মীদের জন্য নানা সরকারি-বেসরকারি সুযোগ সুবিধা থাকলেও, বেসরকারী বা ব্যক্তিগত সংস্থায় কাজ করা শ্রমিক কর্মীরা কতটুকু নিরাপদে থাকেন?
উপস্থিত রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাস জানান “এ আই টি ইউ সি অনুমোদনপ্রাপ্ত এই সংগঠনটি জেলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সমস্যায় জর্জরিত শ্রমিক কর্মীদের পক্ষে কাজ করে আসছেন বহুদিন থেকে। স্টেট ব্যাংক সুইপার এবং হাউস ক্লিনার হিসাবে নিয়োগকৃত কর্মীদের দিয়েই, দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, নিরাপত্তা প্রদান, উইথড্রল ফর্ম প্রদান, এমনকি সাধারণ মানুষকে তাদের ইউ নো অ্যাপস সম্পর্কে অবহিত করানো। এক্ষেত্রে বেঁচে যাচ্ছে অনেক মাইনে। এমনকি রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে এটিএম পাহারার ব্যবস্থা করেছেন। শুধুমাত্র সিসি ক্যামেরার উপর ভর করার পেছনে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছে প্রদেয় সামান্য অর্থ দিলেই মিলে যায় দুর্ঘটনাজনিত যে কোনো ক্ষতিপূরণ। অথচ হাজারে হাজারে শ্রমিক কর্মচ্যুত হচ্ছে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই, সংস্থা বা সরকার কারো। আগামী ১৪ এবং ১৫ ই জুন জাতীয় স্তরে ফেডারেশন এর প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মৌলালি তে, সেখান থেকেই আন্দোলন আরও তীব্রতর করা হবে।”
আগত বিভিন্ন প্রতিনিধিদের থেকে জানা যায় মোবাইলে জিও ফ্রিতে পরিষেবা দেওয়ায়, সুকৌশলে ইউনিনর, টাটা ,এয়ারসেল সহ একাধিক সংস্থা ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতিযোগিতা বিহীন একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাচ্ছে জিও। ধুঁকছে বি এস এন এল। অথচ সরকারি বিএসএনএলের বিষয়ে সচেষ্ট না হয়ে, সরাসরি জিও সহ রিলায়েন্স এর বিজ্ঞাপনে আসর মাতাতে নেমে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বসহ নদীয়া জেলার সম্পাদক রহিদুল মন্ডল, এ আই টি ইউ সি রাজ্য কমিটির সদস্য তপন কর্মকার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।