নিউজ সোশ্যাল বার্তা: একদিকে প্রাকৃতিক দূষণ অন্যদিকে জলের অপচয় ফলে মাটির নিচের জলস্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে । কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এই জল সংকট মেটাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে চলেছে । কিন্তু সাধারন মানুষের মধ্যে যদি সচেতনতা তৈরি না হয় তাহলে কখনই এই জল সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয় ।
গত বছরেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন শহরে জলের সংকট ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল । এবার তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পথে নামল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা ব্লকের ড. বি আর আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় এর এনএসএস বিভাগ ।
এই মহাবিদ্যালয়ের জাতীয় সেবা প্রকল্পের একটি দত্তক গ্রাম রয়েছে নাম তার কোলা । গ্রামের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজ । পাইপ লাইন ও ট্যাপের মাধ্যমে গ্রামে জল-সরবরাহ হয় । গ্রামের জল সরবরাহের কিছু ট্যাপের মুখ খোলা তা থেকে অনবরত জল পড়ে ।
মহাবিদ্যালয়ের পরিকল্পনা মাফিক গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ এন এস এস বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার ও অধ্যাপিকা ড.পূর্ণিমা মুখার্জি ও ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড.অধীর রায় মহাশয় এর নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রীরা হাজির হয় দত্তক গ্রামে ।
জল সংকট মেটাতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত সে নিয়ে গ্রামের বিদ্যালয়ে আয়োজিত হয় একটি আলোচনা সভা ।সুন্দর ও সাবলীল ভাবে ড. মুখোপাধ্যায় ও ড. রায় গ্রামের মানুষের কাছে জল সংকট ও তার প্রতিকার কি সেই বিষয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন । গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আলোচনা চক্রে অংশগ্রহণ করেন । তারপর যে সমস্ত ট্যাপ কল গুলি ভাঙ্গা ছিল ও পাইপ গুলো ফাটা ছিল সেগুলি ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ হাতে সারাই করে।
এই প্রসঙ্গে এন এস এসের প্রোগ্রাম অফিসার ড.পূর্ণিমা মুখার্জী বলেন – “সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে তাহলেই এই জল সংকট থেকে আমরা মুক্তি পাব “। জাতীয় সেবা প্রকল্পের পক্ষ থেকে তিনি মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি , অধ্যক্ষ ও অন্যান্য সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন “সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছাড়া এই কাজ কখনোই সম্ভব করতে পারতাম না” । মহাবিদ্যালয়ের এই ভূমিকায় খুশি স্থানীয় জনসাধারণ ।