নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার প্রতিটা ওয়ার্ড এ মাইকিং করে বর্জ্য পৃথকীকরণ করার প্রচার ও সংগ্রহ

Social

মলয় দে নদীয়া:-সাধারণ নাগরিকদের আরো সচেতন করতে অভিনব উদ্যোগ নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার। বাংলার দ্বিতীয় পৌরসভা হিসেবে পরিচিত এই শান্তিপুর পৌরসভা এবার গৃহস্থালী এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পৃথকীকরণ এবং তা সংগ্রহ আগেই শুরু হয়েছিল। এর জন্য পৌরসভার ২৪টি ওয়ার্ডেই প্রত্যেক বাড়িতে দেওয়া হয়েছিল সবুজ এবং নীল রঙের আলাদা দুটি বালতি তবে কোন বালতিতে কি রাখতে হবে সে ব্যাপারে সচেতন থাকলেও ব্যতিক্রমী ঘটনাও ঘটছিল মাঝেমধ্যেই সবচেয়ে বিপদজনক বিষয় হয়ে উঠছিল ভাঙা কাঁচের টুকরো স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্লেড কিংবা এক্সপায়ারি হওয়া ঔষধ যদি এই বর্জের মধ্যে মিশে যায় তাহলে পরিত্যক্ত বর্জ্য থেকে অন্যান্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে । তাই সেই বিষয়ে সচেতন করতে

শান্তিপুর শহরের প্রতিটা ওয়ার্ডে নির্মল সাথীর কর্মীরা লাউড স্পিকার এর মাধ্যমে জনসাধারণকে বর্জ্য পদার্থ সম্বন্ধে বিভিন্ন রকম সচেতনতার পরামর্শ দিচ্ছেন । এ বিষয়ে শান্তিপুর পৌরসভার পৌরপতি সুব্রত ঘোষ জানান স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির পক্ষ থেকে এই লাউড স্পিকার গুলি নির্মল সাথীদের জন্য দেয়া হয়েছে পৌরসভায়। সেই মোতাবেক ২৪ টি ওয়ার্ডের নির্মল বন্ধুদের হাতে সেই লাউড স্পিকার তুলে দেয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য। এবারে এই পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ গুলি সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হবে এবং পরবর্তীতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে এই বজ্র পদার্থ থেকে সার এবং অন্যান্য যে সমস্ত কাজকর্ম করা যায় তার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। ইতিমধ্যে একটি সংস্থা বর্জ্য পদার্থ থেকে সরকারি নিয়মে এবং প্রকল্পের নিয়ম মত যা যা করণীয় তার কাজ শুরু করেছে। তবে এবার থেকে রাতেও চলবে শান্তিপুর শহর সাফাই অভিযান তার জন্য মোট দশটি অত্যাধুনিক গাড়ি কিনেছে পৌরসভা তাতে করে শহরকে এবং শান্তিপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখতে এবার আর অসুবিধা হবে না বলেও জানান শান্তিপুর পৌরসভার পৌরপতি।

Leave a Reply