দেবু সিংহ,মালদা: শুরু হয়েছে রমজান মাস । আর এই মাসেই অগ্নিমূল্য ফলের দাম । মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী রোজা ভাঙ্গার মুহূর্তে ফল খেয়ে ধর্মীয় রীতি পালন করে থাকেন ওই সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কিন্তু যেভাবে মালদার বাজারে ফলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে, তাতে কালঘাম ছুটছে সাধারণ মানুষের। এমনকি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তরমুজের দামও। যদিও ফল বিক্রেতাদের বক্তব্য, আমদানি কম, তাই বিভিন্ন ফলের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে পড়েছে। তবুও চাহিদা রয়েছে, আমাদের কিছু করার নেই। যে দরে পাচ্ছি সামান্য লাভ রেখেই বিভিন্ন ফল বিক্রি করতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরই রমজান মাসে অল্পবিস্তর ফলের দাম বাড়ে এবং কমে। কিন্তু এবছর ফলের দাম একলাফে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়েছে, এমনটাই দাবি করছেন ফল ব্যবসায়ীরা। ফল ব্যবসায়ীরা জানান , এক ক্যারেট আঙুর (১৭ কেজি) গত বছর এক হাজার টাকা দরে কিনেছিলাম । এবার তার দাম দিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০০ টাকা। গত বছর ১৭ কিলো মৌসম্বী লেবুর দাম ছিল ৭০০ টাকা। এবারে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০০ টাকা। আমদানি অনেকটাই কমে গিয়েছে, যার দরুন অনেক বেশি টাকা দিয়ে বিভিন্ন রকমের ফল কিনতে হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতারা।
ফল বিক্রেতাদের বক্তব্য এরকম লাগাম ছাড়া ফলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বেচাকেনা করাই দায় হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্রেতারাও ফল কিনতে রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন।
অন্যদিকে রোজা আসতেই বিশাল দাম তরমুজের। এইবার সিজন না আসায় আকাল দেখা দিয়েছে তরমুজের বাজারে। তরমুজ পরিপক্ত হতে এখনো বেশ কিছুদিন বাকি। যার ফলে কাছাকাছি তরমুজ মেলাও অমিল। বর্তমানে মালদা শহর সহ কালিয়াচকে তরমুজ আসছে সুদূর মহারাষ্ট্র থেকে। যেখানে দামের চাইতে গাড়ির ভাড়ায় বেশি। আর এত দামে সাধারণ মানুষের নিকট তরমুজ কেনা বিশাল দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।