মলয় দে নদীয়া: নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া গ্রামের মাতা বাগদেবী মন্দিরে মাঘ মাসের শেষ মঙ্গলবার সংকীর্তন ও মহোৎসব এর মধ্য দিয়ে চলে পূজার্চনা। ফাল্গুন মাসের প্রথম সপ্তাহের যে শনি ও মঙ্গলবার পড়ে সেদিন থেকেই শুরু একমাস ধরে প্রতি মঙ্গল ও শনিবার বাগদেবী মায়ের পূজা-অর্চনা। এছাড়াও এই বাগদেবী মন্দিরে মায়ের পূজা অর্চনা কে কেন্দ্র করে এক মাস ধরেই চলে মেলা। নদীয়া তথা শান্তিপুরের হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয় এই বাগদেবী মন্দির চত্বরে।
তবে আজ থেকে কয়েক দশক আগেও ওই এলাকায় বছরে এই দু একটি দিনে গুটিকতক লোক সারা বছর শুনশান থাকতো। কিন্তু ভক্তবৃন্দদের মুখে প্রচার এবং প্রসারের মাধ্যমে পূজা পাট বেড়েছে অনেকটাই। যা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ ।
আজ এইরকমই এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কোনমতে সামাল দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন এবং মন্দির কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু ভক্তের দাবি দেবীর প্রতি সম্পূর্ণ ভক্তি ভরসা এবং বিশ্বাস রেখেই তারা দূর দূরান্ত থেকে আসেন, সকাল থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষায় থাকেন পুজো দেওয়ার। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ পেছনের একটি দরজায় পোস্টার লাগিয়েছে একশ টাকার বিনিময়ে ভিআইপি পুজো। যেখানে বিত্তবান মানুষজন এসে অনায়াসেই ভিড় না ঠেলেই পুজো দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু মন্দিরে ভক্তরা সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেন সেক্ষেত্রে ভক্তদের মধ্যে এ ধরনের বিভাজন তারা মেনে নিতে পারছেন না আর তাই নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। যদিও এই প্রসঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষ বক্তব্য দেওয়ার ফুরসৎ পাননি । তবে ভিআইপি গেটে দাঁড়ানো কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক ব্যক্তি স্বীকার করেন ১০০ টাকার বিনিময়ে লাইন বিহীন পুজোর কথা। কেউ কেউ বলছেন জেলা পরিষদ এবং প্রাক্তন বিধায়কের তত্ত্বাবধানে এই স্থানের সিঁড়ি, পানীয় জল, শৌচাগার ,গঙ্গা পর্যন্ত ঢালাই রাস্তা এ ধরনের নানা উন্নতি সাধিত হয়েছে। তবে তার পরেও ভক্তদের মধ্যে এই বিভাজন দুঃখজনক।