মলয় দে নদীয়া :-প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসককে মারধর ও নিগ্রহের ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ চিকিৎসক মহলের। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে ডেপুটেশন কর্মসূচি।
এদিন নদীয়ার শান্তিপুর থানায় এই প্রসঙ্গে একটি ডেপুটেশন জমা দেয় আই এমএ, ,এইচ ডি শান্তিপুর ব্রাঞ্চ চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের এর পক্ষ থেকে। এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে প্রায় কুড়ি জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করে। যাদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন ডক্টর পিকে দাস, ডক্টর বাসুদেব দত্ত, ডক্টর তন্ময় দে, রতন হালদার, অরিন্দম ভট্টাচার্য, নেতৃত্বে ছিলেন চিকিৎসক শিবাজী কর ও ডক্টর শ্যামল পড়ে।
ডেপুটেশন কর্মসূচির শেষে চিকিৎসকদের দাবি, যেভাবে একজন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসককে কালীপুজোর চাঁদার জুলুমবাজি কে কেন্দ্র করে নিগ্রহ ও আহত হতে হলো, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি তারা এও জানান, আহত চিকিৎসক সুজন দাস এখন রানাঘাটের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসারত রয়েছেন, কিন্তু একজন চিকিৎসকের উপরে এই ধরনের অমানবিক কাজ চিকিৎসক মহল কখনো মেনে নেবে না। আমরা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছি, প্রশাসন যাতে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যদিও এ প্রসঙ্গে তারা বলেন একজন গ্রেফতার হলেও প্রকৃতপক্ষে মূল দোষী হিসাবে আক্রান্ত চিকিৎসক সুজন দাস যে নামটি বারে বারে বলছিলেন তিনি এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। আমাদের দাবি মূল দোষী গ্রেপ্তার হোক, অন্যদিকে কোন নির্দোষ ব্যক্তি যেন আইনি সমস্যা জর্জরিত না হন।