সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম পীঠ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় দেবী মা বর্গভীমাকে

Social

তমলুক পূর্ব মেদিনীপুর:– সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম পীঠ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় দেবী মা বর্গভীমাকে। কথিত আছে সতীর দেহত্যাগের পর শিব যখন সতীর দেহকে কাঁধে নিয়ে তান্ডবনৃত্য কর ছিলো, সেই সময় নারায়ণের সুদর্শন চক্রে সতীর দেহ ছিন্ন করা হয়ে ছিলো। আর সেই সময় সতীর বাম পায়ের গোড়ালি পড়ে তমলুকে।

দেবীর ৫১ পীঠের অন্য তম পীঠ হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের দেবী বর্গভীমা কে ধরা হয়। দেবী বর্গবীমা মন্দির সাধারণ মানুষের কাছে কাছে এখন দর্শনীয় স্থান হিসেবেও বিবেচিত হয়। কারন প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন দেবী বর্গভীমার কাঋে পুজো দিতে। মনস্কামনা পূর্ণের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে ভক্তেরা আসেন মা বর্গবীমার কাছে। শুধুমাত্র এরাজ্য নয়, বিভিন্ন রাজ্য থেলে যেমন আসেন, মাঝে মধ্যে বিদেশিরাও আসেন দেবী বর্গভীমা দর্শনে। দেবী বর্গভীমাকে নিয়ে রয়েছে বহু উপাখ্যান ও গল্পগাথা। দেবী বর্গভীমার তন্ত্রমতে পুজা হয়। দেবীর ভোগে মাছ অবশ্যই দিতে হয়। তবে শোলমাছ দেবীর ভোগের প্রিয় বস্তু। প্রতিদিন বহু ভক্ত দেবীর ভোগ ভক্ষন করেন। তবে তমলুক এলাকায় আগে কোন শক্তির আরাধনা হতোনা। পরে তা দূর্গা বা কালি পুজোর সখ্যা বাড়তে থাকে। তবে সনস্ত পুজো কমিটি গুলো আগে দেবী বর্গবীমাকে পুজো দেওয়ার রীতি রয়েছে, পরে অন্যান্য পুজো কমিটির পুজো হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিত্যপুজো চলে।কালীপুজোর বিশেষ দিনে সারারাত চলে দেবী বর্গভীমার পুজো। বহু ভক্ত প্রতিবছর দেবীর মন্দিরে আসেন পুজো দিতে। শুধু কালি পুজোর বিশেষ দিন নয়, প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে আসেন দেবীদর্শনে দর্শনার্থীরা।

Leave a Reply