সংস্কৃততে এমএ পাশ করেও মেলেনি চাকরি ! বাবার মৃৎশিল্পের কারখানায় প্রতিমা তৈরি করছেন কৌশিক

Social

দেবু সিংহ মালদা: এমএ পাশ করেছেন। বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষায় বসেছেন। কিন্তু মিলছে না চাকুরী। এদিকে পরিবারে অনটন। বাবা অসুস্থ তাই আগের মত কাজ করতে পারছেন না।তাই সংসার চালাতে বাবার পেশাকে বেছে নিলেন এমএ পাস যুবক। বাবার সঙ্গে প্রতিমা তৈরি করছেন।
বেকারত্ব ঘুচাতে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ভরসা কৌশিকের।

বাবার মৃৎশিল্পের কারখানায় প্রতিমা তৈরি করছেন এমএ পাশ কৌশিক। এই বছর একাধিক বড় বড় ক্লাবের প্রতিমা তৈরি করছেন।

চাকুরীর আশায় না থেকে সংসার চালাতে পুরোপুরি মৃৎশিল্পের কাজে নেমে পড়েছেন কৌশিক। ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনার ফাঁকে অল্প অল্প করে কাজ শিখেছে বাবার কাছে। ইচ্ছে ছিল প্রতিমা তৈরীর কাজ শেখার। এই কাজ তার ভালো লাগে। তাই তো সংস্কৃত বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ইচ্ছে রয়েছে সংস্কৃত বিষয়ে শিক্ষকতা করার। পাশাপাশি সখ হিসাবে প্রতিমা তৈরির কাজ করার।

পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর পঞ্চায়েতের বাজারপাড়া এলাকায় বাসিন্দা বিমল পাল একজন বিখ্যাত মৃৎশিল্পী।বাবার হাত ধরেই কাজ শিখেছেন কৌশিক পাল। বংশের পরম্পরাকে টিকিয়ে রাখতেই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে শুরু করেছে। বাবা বিমল পাল ছেলেকে এই শিল্পকলা শেখান। কারণ তিনি আগে থেকেই সজাগ হয়েছিলেন। ভবিষ্যতে কি হবে তিনিও জানেন না। তাই ছেলেকে এই বিদ্যা শিখতে বলেন।‌ তবে ছেলে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে। তাই তিনিও চাইছেন ছেলের একটি চাকুরী।
ছেলেকে কষ্ট করে লেখা পড়া শিখিয়েছেন ভাল কিছুর আশায়। তাই বাবা বিমল পাল চাইছেন ছেলের চাকুরী।

বেশ কিছু প্রতিমা তৈরীর কারিগরদের সহযোগিতা নিয়েই এখন বাবা ও ছেলে দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ছেন। বাবা অসুস্থ তাই চলতি মরশুমে ছেলের কাঁধেই দায়িত্বভার বেশি পড়েছে। তবে প্রতিমা তৈরি করলেও কৌশিক এখনো অ-প্রান লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে একটি সরকারি চাকরির জন্য। তার জন্য প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি নিয়মিত চলছে প্রস্তুতি।

Leave a Reply