নদীয়ার শান্তিপুরে এই প্রথম,বিএসএফের অস্ত্র ভান্ডার প্রদর্শন

Social

মলয় দে নদীয়া :-দেশ রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা সকলের। স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেই শিক্ষাই দেওয়া হয় এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের। কিভাবে তারা যুদ্ধ করে কোন কোন আগ্নেয়াস্ত্রের নাম কি! কিভাবে তা দিয়ে শত্রু দমন করতে হয় এসবই অ্যান্ড্রয়েড কিংবা টিভিতে দেখে খুদে পড়ুয়ারা। তা যদি চাক্ষুষ দেখতে পায়, তাও আবার হাতে নিয়ে, তাহলে তো কথাই নেই!

শান্তিপুর বন্ধু সভা এবং লায়ন্স ক্লাবে আজ এবং আগামীকাল দুদিনের জন্য শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনীর পক্ষ থেকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের সেনাবাহিনীদের নিয়ে এসে তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শনী আয়োজন করেছে। বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল পড়ুয়া কচিকাচাদের এ ধরনের বিভিন্ন আয়োজন বছরের বিভিন্ন সময় হয়ে থাকলেও শান্তিপুরে এই প্রথম। আগামীকাল সেনাবাহিনীদের হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত মজুদ রাখার উদ্দেশ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে সদস্যরা রক্তদান করবেন। এই উপলক্ষে রাজ্যের ডিআইজি সেক্টর হেডকোয়ার্টার বিএসএফ কৃষ্ণনগরের শ্রী সঞ্জয় কুমার,রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপার আইপিএস ডক্টর কে কন্নন, শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়কিশোর গোস্বামী, পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ, জেলার মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলা সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর সহ বহু বিশিষ্টজনদের আসার কথা। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে সকাল দশটা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী খোলা থাকবে। আজ সকাল থেকেই কচিকাচাদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতন।
সংগঠনের কর্ণধার রূপায়ন চৌধুরী বলেন, অভিনব এই আয়োজনের ফলে, ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও অজানা এ ধরনের বিষয় জানার সুযোগ ঘটবে। অন্যদিকে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে আরো। ছাত্রছাত্রীদের দেশ রক্ষা এবং দেশের প্রতি কর্তব্য বোধ জন্মাবে।

স্লাইড শো এর মাধ্যমে এদিন একটি প্রদর্শনিতে বিএসএফ আধিকারিকরা ব্যক্ত করেন তাদের বিভিন্ন ক্রিয়া-কলাপ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে নানা অভিজ্ঞতা।
মা বাবার সাথে অস্ত্র ভান্ডার দেখতে আসা, ক্লাস ওয়ানের ছাত্র গৈরিক গাঙ্গুলী জানায়, বন্দুক এতটাই ভারী সে একা তুলতে পারছিলো না, তবে সেনাবাহিনীর কাকুরা তাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে। ভয় নয়, বরং আগ্রহবশত সে জানায় আগামীতে অনেক পড়াশোনা করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। শান্তিপুর কলেজের বিএ সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী প্রীতমা ঘোষ জানায় উচ্চতা অনুযায়ী তার হয়তো কোনদিনই দেশ সেবার কাজ জুটবে না। তবে ছোটবেলা থেকে তার আগ্রহ এ বিষয়ে আজ নিজে হাতে বন্দুক গুলি এবং তা চালানোর পদ্ধতি জানতে পেরে সে খুব খুশি, বাড়তি পাওনা আধা বাংলা আধা হিন্দিতে সেনাবাহিনীর সাথে কথা বলতে পারা। নবম শ্রেণীর ছাত্র সৃজন ঘোষ জানায়, বেশ করেছি বন্ধুকে নাম সে শিখেছে, যেগুলো আগে জানতো সেগুলো স্পর্শ করতে পেরে সে গর্বিত। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর জওয়ানরাও খুশি, খুদে পড়ুয়াদের সেলফি তোলার আবদারে, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে তাদের জানাতে পেরে।

Leave a Reply