মলয় দে নদীয়া :- সকাল হতেই নদীয়ার শান্তিপুর গোবিন্দপুর এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
বাবলা মাঝের পাড়ার সমীর শীলের ছেলে পলাশ শীল, রানাঘাট কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। অন্য আর পাঁচটা দিনের মতন গতকাল সে রাতে শুতে যায় নিজের ঘরে, আজ ভোরে উঠে বাবা সমীর শীল ছেলের ঘরের জানলা দিয়ে প্রথম লক্ষ্য করে, সে গলায় উত্তরীয় কাপড় দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তীব্র কান্না শব্দের ছুটে আসে প্রতিবেশীরা খবর দেয় শান্তিপুর থানার পুলিশকে।
পুলিশ এসে নিথর ওই দেহ শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় মৃত্যু নিশ্চিত করতে এরপর ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে তারাই।
যদিও মৃত যুবকের লিখে যাওয়া একটি সুইসাইড নোট এবং শেষ কথোপকথনের প্রমাণ হিসাবে মোবাইলটিও তারা নিয়ে যায় তদন্তের জন্য।
বাবা সমীরবাবু বলেন, “ছেলে বিয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র প্রথমে গোবিন্দপুর এর একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত ছোটবেলায় সেই সময় থেকেই বন্ধুত্বের যোগাযোগ পাশের দাসপাড়া একটি মেয়ের সঙ্গে। সেও রানাঘাট কলেজে পড়াশোনা করে। ওদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো, তবে ছেলের বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তৃতীয় কোনো ছেলেকে সম্প্রতি ওই মেয়েটি ভালোবাসতে শুরু করে এবং আমার ছেলের সাথে তার দূরত্ব বাড়ে, গতকাল রাতেও হোয়াটসঅ্যাপে এবং ফোনে তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়, এরপরেই আত্মহত্যা করে সে”।
তার ছেলের মৃত্যুর জন্য ছেলের বান্ধবীকেই দায়ী করে শাস্তির দাবি করেছেন সমীর বাবু।অন্যদিকে মা শিখা বলেন, মেয়েটি এমন কিছু ফোনে বলেছে যার ফলে অভিমানে চলে গেছে ছেলে, তবে ও যে খুব ভালো মনের মানুষ তা বোঝা গেছে ওর সুইসাইড নোটে, সেখানে উল্লেখ করেছে নতুন যে ছেলেকে বেছে নিয়েছে মেয়েটি, তাতে তাকে কোনো দোষারোপ করেনি বরং একবার এসে তার মরা মুখ দেখে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে শিখা দেবীর মনে হয়েছে, ছেলের বান্ধবী যদি একবারও তার অপছন্দের কথা আমাদের জানাত তাহলে আমরাই ছেলেকে তার কাছ থেকে সরিয়ে নিতে পারতাম, এই দিন দেখতে হতো না। তার থেকেও বড় কথা দীর্ঘদিন ধরে ছেলের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করার কি মানে ছিলো তাও বুঝতে পারছি না।
তবে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।