মলয় দে নদীয়া: চলে গেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বিপ্লব দত্ত। আজ সকালে নদীয়ার কল্যানীর নিজের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিপ্লববাবু, আর সেখানেই মৃত্যু হয় বিপ্লব দত্তের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
বিপ্লববাবু মূলত প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ছিলেন। প্রথম জীবনে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করতেন তিনি, তারপর একটি ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কাজ করতেন। এরপরে প্রতিদিন সংবাদপত্র চালু হওয়ার পর তিনি প্রতিদিন পত্রিকায় যোগ দেন, জেলা সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। এদিন তার মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে ছুটে আসেন সতীর্থ সাংবাদিকরা। তার মৃতদেহ শান্তিপুর মহা শ্মশানে নিয়ে এসে দাহ করার সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবার। আসার পথে রানাঘাটের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা তার মরদেহে ফুল ও মলা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শান্তিপুর মহাশ্মশানে তার মৃতদেহ আনা হলে সেখানে ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদপত্র পোর্টাল নিউজের প্রতিনিধিরা শান্তিপুর শ্মশানে এসে পৌঁছান।
নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকেও সতীর্থ সাংবাদিকরাও শান্তিপুর শ্মশানে এসে পৌঁছান। এরপরেই শান্তিপুরের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে তার মরদেহে মাল্যদান করে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। মাল্যদান করা হয় শান্তিপুর থানার পক্ষ থেকেও। দুপুরের পরে শান্তিপুর মহা শ্মশানে দাহ করা হয় বিপ্লব দত্তের মৃতদেহ। জানা যায় বিপ্লব দত্তের বর্তমানে স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যদিও হঠাৎই বিশিষ্ট সাংবাদিক বিপ্লব দত্তের মৃত্যুর ঘটনায় শোকাহত গোটা সাংবাদিক মহল।