অর্ধ সমাপ্ত নিকাশী ব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ হয়ে সিপিআইএম পার্টিতে যোগদান

Social

মলয় দে নদীয়া :- নেতা ছাড়াই যোগদান! নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ৩৫ নম্বর আসনে সিপিআইএম প্রার্থী হাসিবুল শেখের হাত থেকে পতাকা নিয়ে আজ এলাকার আনুমানিক ২০জন তৃণমূল কর্মী যোগদান করল সিপিআইএমএ। তাদের দাবি ওই এলাকার যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে তার সামনে এক হাঁটু জল থাকে বর্ষার সময়, তাতে একদিকে যেমন স্কুলের বাচ্চাদের যেতে অসুবিধা অন্যদিকে ভোট দিতে গিয়েও অসুবিধার সম্মুখীন হবেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে বিডিওকে তারা লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে জেলা পরিষদের তহবিলে ৩১ লক্ষ টাকার নিকাশি ব্যবস্থা, স্থানীয় গণিত চায়ের দোকান থেকে গঙ্গার ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু মাঝপথেই থমকে থাকে ওই নিকাশি নালা। ফলে ড্রেনের মধ্যে থাকা জলে মশার আঁতুঘর সৃষ্টি হয়েছে। ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সরকার যতই সচেতন হোক না কেন স্থানীয় পঞ্চায়েত বা সদস্যের কোনো হেলদোল নেই।

স্থানীয় বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য এবারেও তার পরিবারে তৃণমূলের টিকিট নিয়ে পরিবার তন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখেছেন, এবিষয়ে ওই বুথে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা করেননি, তাই আব্দুল গনি শেখের মত ২০জন কর্মী আজ ওই এলাকার সিপিআইএম প্রার্থী হাসিবুল শেখের হাত থেকে নিজেদের হাতে তুলে নেন লাল ঝান্ডা। সুবিশাল এক মিছিল করে তারা সমগ্র এলাকা পরিক্রমা করেন।
তবে নেতাবিহীন যোগদান, প্রসঙ্গে আমরা শান্তিপুর সিপিআইএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক সঞ্জিত ঘোষকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাই বামপন্থীদের পরিচয় সেখানে কর্মীরাও নেতৃত্বের যোগ্যতা রাখে। হাসিবুল লড়াকু ছেলে পাড়া গত ভাবে ও মানুষের দাবি পূরণ করতে পারবে তাই জয়ের দিকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
এলাকার মাধাই ঘোষ, প্রাক্তন তৃণমূল মেম্বার ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি করেন, তিনি বলেন দীর্ঘদিন তৃণমূল করার পর, পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব পর্যন্ত দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে উঠেছে সেই কারণেই তৃণমূল ছেড়ে সিপিআইএমে যোগদান। শূন্য হলেও এবারে বামেরা আবারো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

সিপিআইএম প্রার্থী হাসিবুল শেখ বলেন, অর্ধ সমাপ্ত নিকাশী ব্যবস্থা সম্পর্কে স্থানীয় মেম্বার এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন টাকা শেষ হয়ে গেছে, অথচ পুরো কাজের অর্ধেকও হয়নি। এভাবে মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বিভিন্ন প্রকল্প মানুষের কাজে না লেগে কাটমানি খাচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা এবং বিদ্যালয়ের সামনে জলমগ্ন এই দুই বিষয়েই জেলা প্রশাসনিক মহলে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেই তিনি আমাদের জানিয়েছেন। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকার প্রায় সকলেই লাল পতাকার তলায় সামিল হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন এখানে নির্দল এবং বিজেপি প্রার্থী আছে কিন্তু মূলত লড়াইটা সিপিআইএমের সাথে তৃণমূলেরই হবে। আর জয়লাভ করবে সিপিআইএম।

Leave a Reply