দুই জা দুই ফুলের প্রার্থী ! নদীয়ার এই গ্রামে দুই জায়ের ভোটের লড়াই জমে উঠেছে

Social

মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার তেহট্ট পলাশীপাড়া এলাকার হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতিপোতা গ্রামে দুই জায়ের ভোটের লড়াই জমে উঠেছে। বড় জা দীপালী সর্দার তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন ছোট জা ঝর্ণা সর্দার বিজেপির হয়ে ময়দানে নেমেছেন।

সিপিএম প্রার্থী দিলেও আসল লড়াই এই দুই জায়ের মধ্যে। এলাকার মানুষ তাকিয়ে আছে ভোটের ফলাফলের দিকে কোন জা জয়ী হয়।যদিও এই লড়াইএ তাঁদের মধ্যে কোন বিভেদ সৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছে দুজনেই।

নদিয়া জেলার তেহট্ট-২ ব্লকের হাঁসপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের নতিপোতা গ্রামের ১২২ নম্বর বুথ। যে বুথে ভোটার ১৪০১ জন। সেই বুথে দুটি প্রার্থী। তারমধ্যে একটি সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী। সেই মহিলা প্রার্থী দুই দল একই পরিবার থেকে দেওয়ায় নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছে বড় জা দীপালী সর্দারকে। আর ছোট জা ঝর্ণাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে দুই জা তাঁদের সংসার সামলে প্রচার করছে।

দিপালীর স্বামী লক্ষণ সর্দার অনেকদিন থেকে তৃণমূল করে । তেমন ঝর্ণার স্বামী তাপস সর্দার বেশ কিছুদিন ধরে বিজেপি করে। দুই ভাই দুই দল করলেও কোনদিন তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়নি। তাই তাঁদের বক্তব্য আমাদের বউরা ভোটে দাঁড়ালেও সম্পর্ক একই থাকবে। দীপালী বলেন, আমার স্বামীর ইচ্ছাই এবার প্রথম ভোট যুদ্ধে নামা। তাই অসুস্থ শাশুড়িকে স্নান করে খাইয়ে, নিজের আট বছরের মেয়ের সব কিছু গুছিয়ে দিয়ে প্রচারে বের হচ্ছি। আমি মানুষের সাড়া পাচ্ছি। তাই এই নির্বাচনে আমি জিতবোই। তবে যায় হোক ভোটের ফলাফল আমরা যেমন নিজেদের মধ্যে হাসি ঠাট্টা করি সেটাই করবো। ভোট নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন রকম মনোমালিন্য হবে না।

ঝর্ণা বলেন, আমি বিজেপি সমর্থক। তাই দল যখন প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিল আর না করতে পারিনি। তবে এই জন্য আমাদের মধ্যে কোন রকম মনোমালিন্য তৈরি হয়নি। আমি মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় বৌদির আশীর্বাদ নিয়েছি। আমার আশা আমি জিতবো। দুই জায়ের লড়াই তাড়িয়ে উপভোগ করছে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা বলেন, আমরা দুই জায়ের লড়াই উপভোগ করছি। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না। তবে দুই জা দুই দলের হয়ে ভোটে দাঁড়ালেও তাঁদের মধ্যে কোন রকম বিভেদ তৈরি হয় নি। এটাই আমরা চাই। ভোটের যুদ্ধ ব্যালটে হবে। সম্পর্কে যেন তার আঁচ না পড়ে।

তবে ওই এলাকার সিপিআইএম প্রার্থী সীমা সরদার অবশ্য ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তার মতে বিজেপি তৃণমূল যে সেটিং করে চলে তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই গ্রামে। মানুষ সব জানেন, প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও ব্যালটে যেতাবে আমাকেই।

Leave a Reply