অপরিণত বয়সে বিয়ে ! মিসক্যারেজ ! বিরল গ্রুপের রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালেন নদীয়ার যুবক

Social

সোশ্যাল বার্তা: নদীয়ার হবিবপুরের দীপু’র সঙ্গে প্রনয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে অপ্রাপ্তবয়স্ক মিতা’র। দীপু কর্মসূত্রে থাকে পূণে।বাড়ি ফিরতেই পরিবারের অজ্ঞাতেই টিনেজার মিতা’ বিয়ে করে বসে ২৫বছরের দীপুকে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অন্তসত্ত্বা হয়ে পরে মিতা। কিন্তু বয়সতো কম ফলস্বরূপ পরিপূর্ণতার আগেই ঝরে পরে বৃন্ত হতে কুড়ি।

প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হওয়ায় গত তিন দিন আগে মিতাকে ভর্তি করানো হয় নদীয়ার রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে। প্রচুর রক্তপাত হওয়ায় হিমোগ্লোবিন ৫ এর নিচে নেমে আসে। চিকিৎসক দেহে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন। মিতার রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ (O Negative)। আনুলিয়া ব্লাড সেন্টারে সম্বল এক ইউনিট ঋণাত্মক রক্ত দেওয়া হয় মিতাকে। তবু লাগবে আরও- হন্নি হয়ে দীপু ও তার পরিবার একবার জেলা তার পর ভিনজেলার ব্লাড সেন্টার গুলিতে পৌঁছে যায় কিন্তু এই শুষ্কমৌসুমে সব সেন্টারেই শূণ্য। ফল স্বরূপ নিরাস হয়ে ফিরে ফিরে আসতে হয় ওকে।

হতাশ পরিবারের স্বজনেরাও, আগে নিমরাজি হলেও এখন একযোগে মিতার দিদি -জামাইবাবু জেঠতুতো দাদারা চেষ্টার খামতি করেনি।

ওর একভাই দীপ – সোশাল মিডিয়ার থেকে মোবাইল নং নিয়ে যোগাযোগ করে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুজয় ঘোষ এর সঙ্গে । সুজয় ঘোষ এর রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ (O Negative)। কর্মক্ষেত্রে এদিন ছিল সুজয় বাবুর ছুটির দিন। তবুও সুজয় বাবুকে কর্মক্ষেত্র আসতে হয়েছিলো রানাঘাটে।

অন্যদিকে দীপু সকালে বারাসাত ব্লাড সেন্টারে না পেয়ে ততক্ষণে পৌঁছে গেছে কালনা-সেখান থেকে নিরাস হয়ে ছুট ছিলো হুগলী চূঁচূড়া। ইতি মধ্যে দীপু’র ফোনে একটি রিং হয়, আসছি ভাই। যথা সময়ে সুজয় আনুলিয়া পৌঁছে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারে মিতা বিশ্বাসের উপযুক্ত আর এক ইউনিট রক্তদান করে ফিরে আসে তার কর্মক্ষেত্রে।

এই প্রসঙ্গে সুজয় ঘোষ জানান “আশা করি মিতা তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। আর সবাই একটু সচেতন হন – অপরিণত অবস্থায় আর নয়”।

উল্লেখযোগ্য বিষয় মাস তিনেক আগে মোটরবাইকে অ্যাক্সিডেন্ট করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুজয় ঘোষ।

নদীয়ার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কৃষ্ণনগর ঐকতান এর দায়িত্বশীল সদস্য সুজয় ঘোষ। সারা বছরই বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিযুক্ত থাকেন।

সুজয় ঘোষের আজকের এই রক্তদান প্রসঙ্গে মিতার পরিবারের সদস্যরা জানান, এখনো যে ভালো মানুষ আছেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ সুজয় বাবুর মতো লোকেরাই। ধন্যবাদ দিয়ে ওনাকে ছোট করবো না উনি ভালো থাকুন এটাই কামনা করি।

Leave a Reply