মলয় দে নদীয়া:-কাঁটাতারের বেড়া মাঝে থাকলেও দুই দেশের আন্তরিকতা সংস্কৃতি আদান-প্রদানে এতোটুকু ঘাটতি পড়েনি কোনদিন।
বাংলাদেশে পেট্রাপোল গেদে ট্রেন চলাচল চালু থাকলেও স্থল বন্দর তৈরি করার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছিল দুই সরকারের পক্ষ থেকেই। তবে ভারত থেকে, সমস্ত ডিজাইন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুমোদন পাওয়ার পর এবার বাকি শুধু কাজ শুরুর । সেতু বন্ধন হিসেবে, মাঝে একটি রাস্তা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রানাঘাট তপশিলি কেন্দ্রের সংসদ জগন্নাথ সরকার তার নিজস্ব সংসদ কোটার তহবিল থেকে কাজ অনুমোদন করেন। এই রাস্তা হয়ে যাওয়ার পরেই, বন্দর নির্মাণের যাবতীয় কাজকর্ম শুরু করবে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সেখানে বিডিআর , বিএসএফ, দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের বিডিও, সংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকারীগণ আজ মিলিত হন, আলোচনার মাধ্যমে এই কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য।
এযাবৎকাল বনগাঁ পেট্রোপোলে সড়কপথে ভারত বাংলাদেশ যোগাযোগে অত্যন্ত চাপ বাড়ছিলো। নদীয়ার সীমান্তবর্তী পাঁচটি লোকসভায় একমাত্র ট্রেন পথে যোগাযোগ গেদেতেই ছিলো। ফলে পণ্য পরিবহনের জন্য হয় ট্রেন না হলে বনগাঁ বর্ডারের উপর নির্ভর করতে হতো দু দেশের ব্যবসায়ীদের। তবে অল্প দিনের মধ্যেই সেই মুশকিল আসান হতে চলেছে দু’দেশের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়।
বাংলাদেশ এ বিষয়ে আশি বিলিয়ন অর্থ মঞ্জুর করলেও, ভারতের অনুসন্ধানড় ডিজাইন প্রস্তুত হলেও অর্থ মঞ্জুর হয়নি এখনো। তবে সংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন অল্পদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বৃহৎ পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করতে চলেছেন স্থলববন্দরন নির্মাণে। কিন্তু সেই অপেক্ষায় না থেকে দ্রুত কাজ সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় চৌদ্দ ফুট চওড়া ৮৫০মিটার আপ এবং ২৭৫ মিটার ডাউন ত দুটি রাস্তা নির্মাণের অর্থ মঞ্জুর করেছেন নিজের তহবিল থেকে। তবে তিনি আশাবাদী, এই কাজ চলার মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যয় বরাদ্দ মঞ্জুর হয়ে যাবে এবং ভারতের মধ্যে একমাত্র নদীয়ার সাথে যেমন বাংলাদেশের রেলপথ যোগাযোগে গৌরবান্বিত হয়েছে নদীয়া বাসি তেমনি, সড়ক পথেও হতে চলেছেন।