দেবু সিংহ, মালদা: দুই বান্ধবীর কীর্তির ঘটনায় কালঘাম ছুটলো পুলিশের। পরিবারে বাবা মায়ের কড়া শাসন ও বকুনি থেকে রেহাই পেতে বাড়ি ছেড়েছিলেন দুই সহপাঠী। তাদের উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটলো চাচোল থানার পুলিশের।কার্যত পুলিশের সাথে লুকোচুরি খেললেন এই দুই সহপাঠী। অবশেষে সিসিটিভি ফুটোজের সাহার্য্যে নাগালে এল দুই বান্ধবী । এখন আদালতের নির্দেশে এই দুই সহপাঠী স্থান হয় মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে।
ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন নাবালিকা দুই সহপাঠী। একই স্কুলে অষ্টম শ্রেনীতে পাঠরত তারা।তাদের বাড়িও চাঁচলে। ৭ ই এপ্রিল পরিবারের উপর অভিমান করে বাড়ি না ফেরার জেদ নিয়ে দুই বান্ধবী চাঁচলের একটি লজে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে। কিন্তু দুইজনই নাবালিকা হওয়ায় লজ কর্তৃপক্ষ তাদের ঠাই দেয়নি।পরে তারা সামসি স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে।সারাদিন বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চাচোল থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করে। শুরু হয় তল্লাশি। সন্ধ্যায় পুলিশ ওই নিখোঁজ দুই সহপাঠীর আত্মীয়কে নিয়ে সামসি স্টেশনেও খোঁজ নিতে যায়।কিশোরীরা আড়াল থেকে আত্মীয়কে দেখে অন্যত্র লুকিয়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক জানান ওই দুই নাবালিক স্থানীয় একটি রিসোর্টে লুকিয়ে রাত কাটায়। পরের দিন সকালেও থাকে। ৮ এপ্রিল বিকেল নাগাদ আবার চাঁচলে আসে।চাঁচলের একটি বাড়িতে পেইন গেষ্ট হিসেবে আত্মগোপনও করে। কিন্তু ওই দুই বান্ধবী স্কুল ও টিউশনি না গিয়ে ঘরে বন্দী হয়ে থাকে দুইদিন। বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। এরপর বাড়ির মালিকও তাদের তাড়িয়ে দেয় ১১এপ্রিল। দিশেহারা হয়ে চাচোল শহরের বুকে ঘোরাফেরা করে এই দুই বান্ধবী।অবশেষে গতকাল রাতে তারা পুলিশের খপ্পড়ে আসে। মালদহ পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান গতকাল ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে নির্দেশে আজ দুই নাবালিকা কে পাঠানো হয় মালদা শিশু সুরক্ষা কমিশনের হোমে।