মলয় দে নদীয়া:-একের পর এক চুরির ঘটনায় প্রাণ ওষ্ঠাগত শান্তিপুরবাসীর। নদীয়ার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শান্তিপুরে বহু প্রাচীন মন্দির এবং বিগ্রহ এবং তাদের অলংকার সহ মন্দিরের বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী ক্রমেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এ ধরনের বিক্ষিপ্ত পর পর বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায়। তবে মন্দির সুরক্ষিত রাখতে সিসি ক্যামেরার ব্যবহারও আবশ্যিক হয়ে পড়েছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে।
নদীয়ার শান্তিপুর বাবলা পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর রাধামাধব মন্দিরে গতকাল রাতে ভয়াবহ চুরি হয়, সিসি ক্যামেরা লাগানো অবস্থাতেই। যদিও, ওই সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
মন্দিরের সেবাইত এবং প্রতিষ্ঠাতা জয়ন্ত চৌধুরী জানান, অন্য আর পাঁচটা সাধারণ দিনের থেকেও প্রগাড় ঘুম হয়েছে গতকাল, মন্দির সংলগ্ন সবার ঘর হওয়া সত্ত্বেও কোনরকম আওয়াজ পাননি তিনি। তাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন করার জন্য কোন স্প্রে করা হয়ে থাকতে পারে বলেই আন্দাজ করছেন তিনি।
তিনি বলেন ৩০ বছরের এই মন্দিরে দু একটি ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটলেও এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম। মন্দিরের পেছনের একটি গ্রিলের দরজার আছাড়ি ভেঙে, বিগ্রহকক্ষে প্রবেশ করে দরজার ছোট্ট একটি প্যানেল ভাঙার মাধ্যমে। প্রনামি বাক্সে থাকা, আনুমানিক ৮-১০ হাজার টাকা সহ, রাধামাধব, রাধারানী জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা, শালগ্রাম নারায়ণ, গোবর্ধনশীলা, গোপাল এ ধরনের বিভিন্ন বিগ্রহের সোনার টাইরা টিপ, সহ রুপোর মুকুট বাঁশি বাজুবন্ধন কোমর বন্ধন সীতাহার সহ আনুমানিক ৩০০ গ্রামেরও অধিক রুপোর অলংকার চুরি হয় গতকাল রাতে।
জয়ন্ত বাবুর সহধর্মিনী জয়িতা চৌধুরী, বলেন মূল মন্দিরের দক্ষিণ দিকে রাস্তা অবস্থিত সেখানে একটি লম্বা টুল নিয়ে প্রবেশ অথবা বেরিয়েছে দুষ্কৃতিরা। তবে সিসি ক্যামেরার পাসওয়ার্ড এবং বিভিন্ন বিষয় জানেন জয়ন্ত বাবুর কন্যা, তিনি আসলেই শান্তিপুর থানার পুলিশ আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে তদন্ত।