মলয় দে নদীয়া :-সকাল হতেই প্রায় কুড়ি টি শিশু কিশোর জীবের হত্যা! শুধু আজ নয়, এভাবেই দিনে রাতে আনুমানিক ৫০ টিরও বেশি প্রানের হত্যা হয়েছে। বিজ্ঞান যদি সঠিক হয় তাহলে সেই প্রাণও মানুষের থেকেও কম মূল্যবান নয়। যাদের জন্য প্রাণীকুল বেঁচে রয়েছে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা রয়েছে, তাদের নাম উদ্ভিদ।
যেখানে কেন্দ্র রাজ্যের পৃথক দপ্তর রয়েছে বনাঞ্চল রক্ষার, জাতীয় সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছে কড়া আইন। সেখানে এভাবেই বৃক্ষ ছেদন চলছে প্রতিনিয়ত।
আজ নদীয়ার শান্তিপুর বাইপাস সংলগ্ন ডিঙি পোতা এলাকায় একটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা জায়গায়, সকাল থেকেই মাঝ বয়সী আনুমান কুড়িটিরও বেশি গাছ কাটা হলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে, তাদের সন্তানসম গাছ রক্ষা করতে। জানায় শান্তিপুর থানা থেকে বনদপ্তর। ইতিমধ্যেই মানুষের গণপ্রতিবাদে, পালায় গাছ মাফিয়ারা। এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে জানানো হয় শান্তিপুর সুত্রাগড় লঙ্কা পরার বাসিন্দা হারু বিশ্বাস, ওই জমিটি আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে কিনেছিলেন, বিগত সাত-আট বছর ধরে প্রায় ২০০ টি কদমগাছ সম্বলিত ওই বাগান কেটে সাফ করে ফেলছেন, কখনো রাতের অন্ধকারে কখনো বা কাঠ ব্যবসায়ীদের বিনামূল্যে উপহার দিয়ে।
এ এলাকায় আনুমানিক ৭০ টি পরিবারের বসবাস, তাদের দাবি বাইপাস মোড়ে ব্রিজ নির্মাণের জন্য জল যাওয়া ব্যবস্থা সমস্যায় পড়ে, অবশেষে তাদের লিখিত আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্রীজ নির্মাণ সংস্থা ড্রেন করে দিলেও ওই বাগানের মালিক হারু বিশ্বাস, অসহযোগিতা করে। ব্রিজ নির্মাণের কারণে ওই এলাকায়, জমির দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ার কারণে, গাছ কেটে জমি প্লট করে বিক্রি করার চক্রান্ত করছেন তিনি।
এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশ প্রশাসন এবং বনদপ্তরের সহযোগিতায় এই গাছ কাটা তারা বন্ধ করবেন। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আগত প্রতিনিধিদের, এবং শান্তিপুর থানায় একটি গন আবেদন করেন তারা। বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , তাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি গুলি কাটার বিষয়ে। তাই সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনঅআনুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হারু বিশ্বাস ক্যামেরার সামনে বলতে না চাইলেও, ফোনে আমরা জানতে পেরেছি তার প্রতিক্রিয়া। তিনি প্রথমে অনুমতির কথা বললেও পরবর্তীতে, সামান্য কদম গাছ বলে বিষয়টি লঘু করতে চেষ্টা করেছেন । তবে তিনি বলেন নিজে কাটাতো দূরে থাক, তিনি এই গাছ কাটা প্রসঙ্গে কাউকে অনুমতিও দেননি।