মলয় দে নদীয়া :-গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো হয় ঠিকই। তাই বলে দেবাধিদেব মহাদেবের পূজা শিবকে দিতে দেখেছেন কখনো!
বিশ্বাস হচ্ছে না তো! রীতিমতো বাগছাল পরিহিত, হাতে ত্রিশূল এবং গঙ্গা থেকে ঘটি করে জল নিয়ে এসে হনহন করে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ। বাইরে, ভক্তরা প্রতীক্ষায় রয়েছেন সন্ধ্যায় চতুর্দশী লাগার অপেক্ষায়। তারাও হকচকিয়ে উঠলেন দেখে, ভিমরি খেলেন বয়স্করাও , শিশুরা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে। মন্দিরের পূজারী এলেন ছুটে, জানলেন তিনি পেশায় বহুরূপী জীবন্ত মডেলের কাজ করেন শান্তিপুর কলেজ মোড় নিবাসী রাজু ব্যানার্জি।
এ বিষয়ে রাজু বাবু বলেন,তাদের একটি জীবন্ত মডেলের শিল্পীদের সংগঠন আছে। সকালে কৃত্তিবাস স্মৃতি বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভাড়া ছিল অনেকেই কেউ সেজে ছিলেন রাম কেউবা, কবিকৃত্তিবাস, বা দেশ বরেণ্য। রাজু বাবু সেখান থেকে এসে রামনগর এলাকায় একটি শিবপূজো আয়োজকদের ভাড়ায় শিব সেজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে বিকাল চারটেয় টোটো চালিয়ে সারবেন চিকিৎসার প্রচার।এরই মাঝে মাত্র এক ঘন্টার বিরতি। প্রতিবছরই তিনি শিবের পূজো দিয়ে থাকেন বাড়ির পাশে খাঁ পাড়ার বিজয় কৃষ্ণ জ্যোতি: ব্রহ্ম আশ্রমে । কিন্তু হাতে মাত্র এক ঘণ্টা সময় , এরই মধ্যে দিতে হবে পুজো।
এবার সন্ধ্যার সময় চতুর্দশী লাগার কারণে সেখানে পুজোর বদলে শিব লিঙ্গে জল ঢেলে, পুজো দিতে পৌঁছান, বহু প্রাচীন শান্তিপুর তিলীপাড়ায় অবস্থিত জলেশ্বর শিব মন্দিরে। সেখানেও অবশ্য একই নিয়ম, তাই পূজো না দিতে পারলেও জল ঢেলে প্রণাম করে ফিরেছেন তিনি।
তবে দুটি মন্দিরেই পুজোর জন্য আশা ভক্তবৃন্দদের দীর্ঘক্ষন প্রতীক্ষায় থাকার, পর এই দৃশ্যে আনন্দিত সকলেই। রাস্তা দিয়ে শিব অর্থাৎ রাজু ব্যানার্জি যখন টোটো চালিয়ে, বাড়ি ফিরছেন, সকলেই একবার মুচকি হেসে দেখছেন ঘাড় ঘুরিয়ে ।