মলয় দে নদীয়া :-ঘরেতে অভাব পৃথিবীটা তাই মনে হয় কালো ধোঁয়া, ——– বয়সের ভারে নূব্জ, ৮২ বছরের বর্ষিয়ান আরেজুল্লা শেখ বসবাস করেন নদীয়া জেলার করিমপুর ১ নম্বর ব্লক এর অধীনস্থ হুগলবাড়িয়া থানার জয়রামপুর গ্রামে। শৈশব অবস্থা থেকে অভাবে তাড়না সত্ত্বেও তার কলম থেমে যায়নি অদ্যাবধি। বার্ধক্য জনিত কারণে শারীরিক দুর্বলতা এবং চোখের জ্যোতির ক্ষীণতা থাকা সত্ত্বেও ভাবে তার কলম চলেছে। তার লেখা লাইব্রেরীর তাকে পাওয়া যায় না, হাটে বাজারে সাধারণ দ্রব্য সামগ্রীর মত বিক্রি হয় এ গ্রামে সে গ্রামে ,এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। দৈনতার ছাপ তার শরীর জুড়ে এবং তার বসবাসের ঠিকানায় তবুও বিপিএল তালিকায় নথিভুক্ত নন তিনি।
বাংলা দৈনিক বাদেও বিভিন্ন ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে তাকে নিয়ে ও তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে একাধিকবার। যদিও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছে কয়েকবার এবং কিছু সম্মানিক তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কিন্তু তা যথেচ্ছ নয়। সদ্য তাকে করিমপুর লিটিল ম্যাগাজিনের কাব্য চর্চার আসরেও দেখা গেছে ।
২০০৮ সালে নদীয়া মুর্শিদাবাদ প্রীতি সমন্বয়ের অনুষ্ঠানে তাকে সম্বর্ধনা দেয়া হয়। কিন্তু অর্থাভাবের তাড়না তার স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। তার আক্ষেপকে সহানুভূতি জানিয়ে নদীয়া জেলার করিমপুর সার্কেলের সার্কেল ইন্সপেক্টর মোঃ ওমর ফারুক এই কবিকে ভালোবাসার স্পর্শ দিয়েছেন খুবই সদ্য। সরকারি সাহায্যের আবেদন এই কবি রেখেছেন পুনঃ পুনঃ ।
সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে আমরা এই কবি ও শিল্পীর লেখার এবং জীবনের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি, সাথে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারি সহযোগিতা।