মলয় দে নদীয়া :- বয়স ১১২। ডাক্তারি সার্টিফিকেট ছাড়াই মৃত। কখন কোথায় কিভাবে মৃত্যু হয়েছে কেউই জানেন না , এমনকি জানেন না পরিবারও।
অথচ মৃতদেহ ঘাড়ে করে, হিন্দু রীতি অনুযায়ী সমস্ত ধর্মীয় উপাচার মেনে , খাটিয়া কাঁধে করে বলো হরি, হরি বোল ধ্বনি দিয়ে খই খুচরো পয়সা ছড়াতে ছড়াতে নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন ওই পঞ্চায়েতেরই গোয়ালপাড়া এলাকার শ্মশানযাত্রীরা ।
এরপর মৃতদেহ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন উপাচার সেরে, কাঠের আগুনে দাহ করা হয় তাকে।
দাহ করতে গিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ এলাকাবাসীর। একি! মৃতদেহ কোথায়? এ তো কুশপুত্তলিকা।
তবে ঘাড়ে করে নিয়ে আসার সময়, অত্যন্ত হালকা হওয়ার সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বাহকরা।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় আজ থেকে ৪৮ বছর আগে, ওই গ্রামের ৬৪ বছরের বাসিন্দা মহেশচন্দ্র বিশ্বাস, পরিবার ত্যাগ করেন। তারপরে আর কোনদিনই তিনি ফিরে আসেনি, এমনকি তার খোঁজ খবর পাননি পরিবার, মারা গেছে স্ত্রীও । তার বন্ধুর স্থানীয় এ গ্রামে যে কজন ছিলেন তারা প্রত্যেকেই এক এক করে মারা গেছেন। তিনি যদিও বেঁচে থাকেন তার বয়স বর্তমানে ১১২ হতো। যা কখনোই সম্ভব নয়। তারপরেই পরিবারের পক্ষ থেকে মনে হয়েছে, বিষয়টির ধর্মীয় বিধি জানা দরকার। বিধান দাতা পুরোহিতের নির্দেশ মতোই তারা কুশ পুত্তলিকা দাহ করে সমস্ত পরলৌকিক ক্রিয়াকর্মাদি করার ব্যবস্থা করেন।
মহেশচন্দ্র বিশ্বাসের এক পুত্র এবং এক কন্যার ছেলেমেয়েরা আজ দাদুর সৎ কাজ করে। রীতিমতো নেচে গেয়ে শ্মশান যাত্রা, শ্মশান যাত্রীদের খাওয়ানো , পরবর্তীতে হবিষ্যি এমন কি, কামান শ্রাদ্ধ নিয়ম ভঙ্গ পর্যন্ত করবেন তারা।
তবে, দাহ সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।