দেবু সিংহ,মালদাঃ ভেজাল হলুদের কারখানাতে প্রশাসনিক অভিযান। পুলিশকে সাথে নিয়ে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর এবং ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অভিযান। হলুদ প্রস্তুতির প্রক্রিয়া দেখে চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের। সন্ধান মিলল একাধিক রাসায়নিক দ্রব্যের। যে রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত হলুদ খেলে হতে পারে হার্ট ব্লক থেকে ক্যান্সারের মতো মারন রোগ। এতদিন এই ভেজাল হলুদেই ছেয়েছিল বাজার। তবে কতটা ক্ষতি হয়ে গেছে মানুষের শরীরে? উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। সরকারের তরফ থেকে নোটিশ দেওয়া হলো এলাকার তিনটি ভেজাল হলুদ তৈরীর কারখানাকে।
শনিবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর এলাকার হলুদ এবং রান্নার মশলা তৈরির কারখানা গুলিতে হাজির হন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এর আগেই এই কারখানা গুলোর বিরুদ্ধে ভেজাল হলুদ তৈরীর অভিযোগ উঠেছিল।
খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর, ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর এবং পুলিশের যৌথ অভিযান চলে। উপস্থিত ছিলেন চাঁচল মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক ডক্টর রাহুল কুমার মন্ডল। হলুদ লঙ্কার গুঁড়া সহ রান্নার মসলা তৈরির প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। তাতেই চক্ষুচড়ক গাছ তাদের। বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য প্রস্তুত হতো ভেজাল হলুদ এবং লঙ্কার গুঁড়ো। যে হলুদ রমরমিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি হয়েছে বাজারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয় এলাকার তিনটি হলুদ তৈরির কারখানাকে। বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে তারপর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানালেন আধিকারিকরা। আধিকারিকরা মেনে নিলেন ভেজাল ভাবে হলুদ এবং রান্নার মসলা তৈরির কথা। সাথে জানালেন এই ধরনের হলুদ খেলে হার্টের অসুখ থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। যে কথা শুনে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। কারণ দীর্ঘদিন তারা এই হলুদ খেয়েছেন। পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন এত দেরি করল কেন উঠছে প্রশ্ন?।
চাঁচল মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক রাহুল মন্ডল বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিলই। পরিকল্পনা মাফিক আমরা পুলিশ এবং ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরকে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। তিনটি হলুদের কারখানা কে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সাথে মানুষকেও সচেতন করব।
ভেজাল হলুদের কারবার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বেশ কয়েকবার এই খবর প্রচারিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। কিন্তু তারপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় চালিয়ে গেছে কারবার। এরপরেও কি বন্ধ হবে এই কারবার? প্রশ্ন তুলছে এলাকাবাসী।