নদীয়ার হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক বিহীন অবস্থাতেও সফল জটিল অস্ত্রপ্রচার

Social

মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক বিহীন অবস্থাতেও সফল জটিল অস্ত্রপ্রচার। নদীয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে, জটিল অস্ত্রপ্রচার সফল। সন্তান সম্ভব্য এক মায়ের জরায়ুতে ভ্রুণ না বেড়ে ওঠে, পাশের ডিম্বনালীতে বেড়ে ওঠায় বিপত্তি। আগে দুবার এই বছরের সফল গাইনোকোলজিস্ট ডঃ পবিত্র বেপারী, নিজেই রানাঘাট ব্লাড ব্যাংক থেকে , রক্তের ব্যবস্থা করে এক ঘন্টায় অপারেশন করে বাঁচালেন সন্তান সম্ভাব্য মায়ের প্রাণ।

পরিবার সূত্রে জানা যায় , শান্তিপুর শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুরের বাসিন্দা পেশায় তাঁত শ্রমিক আমির দফাদার ও তার স্ত্রী দীপিকা বিবির, তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। সন্তানের বয়স ৩ বছর। গত দু মাস আগে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দ্বিতীয় দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার জন্য। এক মাস পেরোতেই পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে দ্বিতীয় মাসে। প্রচন্ড যন্ত্রণা নিয়ে আজ শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আসলে, বেশ কয়েক রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় তার জরায়ুর মাঝে সন্তান বৃদ্ধি না হয়ে, ডিম্বাশয়ের মধ্যে বৃদ্ধি হতে শুরু হয়েছে, তার ফলেই এই প্রবল যন্ত্রণা। অপারেশন থিয়েটার থাকলেও ব্লাড ব্যাংক বিহীন শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এই অস্ত্রপ্রচার যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। তবে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গাইনোকোলজিস্ট ডক্টর পবিত্র বেপারী আসার পর এ ধরনের অপারেশন সফল হয়েছে এর আগের দুবার। এবারেও সম্পূর্ণ বিপদ মুক্ত করা গেছে রোগীকে। দুশ্চিন্তার থাকা রোগীর পরিবার, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সমস্যা স্বাস্থ্যকর্মী এবং ডাক্তার বাবুকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, কলকাতায় বা অন্যান্য কোথাও গিয়ে ডাক্তার দেখানোর খরচ যোগাড় করা অসম্ভব হতো, তাৎক্ষণিকভাবে শান্তিপুর হাসপাতালে বিনামূল্যে এই জটিল অপারেশন হওয়ার ফলে তার পরিবার সদস্যার প্রাণ, বেঁচেছে এজন্য হাসপাতালে সকল স্বাস্থ্যকর্মীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। অ

ন্যদিকে ডক্টর পবিত্র বেপারী জানান , শান্তিপুরে অজ্ঞান করার একজন রয়েছেন সেটা একটা সমস্যা তা বাদে, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ব্যবস্থাপনা যথেষ্ট ভালো , এমনকি ওটি কর্মীরাও যথেষ্ট অভিজ্ঞ। সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত সহযোগী। সরকারি হাসপাতালের প্রতি ভরসা রাখার কথা বলেন। অন্যদিকে এই সফলতার পেছনে তিনি হাসপাতাল সুপার এবং সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর মিলিত প্রচেষ্টা বলেই জানান।

Leave a Reply