মলয় দে নদীয়া :- বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবতীর সাথে অনবরত সহবাস। অবশেষে বিয়ে করতে অস্বীকার। স্বামীর স্বীকৃতি পেতে উক্ত পুলিশ কর্মীর বাড়িতে গত মঙ্গলবার রাত্রি থেকে ধরনায় বসেছে ওই যুবতী। বাড়ি থেকে গা ধাকা দিয়েছে পুলিশ কর্মী ও তার মা। ঘটনা তেহট্ট থানার বেতাই দক্ষিণজিৎপুর এলাকায়।
সূত্রে জানা যায় রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল তেহট্টের বেতাই দক্ষিণ জিৎপুরের বিপ্লব বিশ্বাস একই থানার বাহাদুরপুরের দেবরানী মন্ডল নামে ওই যুবতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছুটিতে বাড়ি আসলেই দেবরানীকে নিয়ে ঘুরতে দেখা যেত।
স্থানীয়রা জানান গত মঙ্গলবার রাত্রি থেকে ওইখানে ধরনায় বসে আছে। ধরনায় বসার পর এক প্রতিবেশী কেবলমাত্র একবার খাবার দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সারাদিন না খেয়ে ওখানে আছে।
দেবরানী জানায় আমাদের বাড়ির পাশে ওর আত্মীয় বাড়ি, সেই সূত্রেই বিপ্লবের সাথে আমার পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে আমরা দুজনে দুই বছর ধরে ভালোবাসা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। এই সম্পর্কের পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছুটিতে বাড়ি আসলে অনবরত শারীরিক সম্পর্ক করে আমার সাথে। গত সোমবার রাতেও আমাকে বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে ফাঁকা নির্জন জায়গায় সম্পর্ক করার পরে জানায় আজ রাত্রি হয়ে গেছে কালকে বিয়ে করবো। আজ মামার বাড়ি থেকে যাও। ওর কথা মতো কাজ করি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় বিয়ে করে বলে আসতে বললে আমি চলে আসি এবং ও মোটরসাইকেলে করে ওর বাড়ির পাশে এক বন্ধুর বাড়িতে আমাকে নিয়ে এসে শারীরিক সম্পর্ক করে। এরপর মন্দিরে বিয়ে করবো বলে বন্ধুর বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে এসে নির্জন জায়গায় আমাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে আবার সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। সেই সময় স্থানীয় মানুষজন এই ঘটনা দেখতে পেয়ে আমাদের আটক করে এবং আমার মুখে সব কথা শুনে তারা বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। সেই সময় সুযোগ বুঝে ও পালিয়ে যায়। অত রাত্রে কিছু বুঝে উঠতে না পেরে স্থানীয় মানুষজনের সহযোগিতায় বিপ্লবের বাড়িতে এসে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ধরনায় বসেছি। যতক্ষণ না ও আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিচ্ছে ততক্ষণ আমি এখানে ধরনায় বসে থাকবো।