মলয় দে নদীয়া :-একসময় যারা সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেওয়ার জন্য সারা জীবন অতিবাহিত করেছেন আজ তাদের মৃত্যুর পর তাদেরই পরিবার ব্রাত্য সরকারি পরিষেবার ক্ষেত্রে।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ঠিকঠাক সময়ে , তাদের পেনশন দিয়ে দিলেও নদীয়ার শান্তিপুর পোস্ট অফিস থেকে তাদের পেনশন তুলতে প্রায় প্রত্যেক মাসেই সকাল থেকে সারাদিন কেটে যায়, এমনই অভিযোগ করলেন আজ শান্তিপুর কাশ্যপ পাড়া পোস্ট অফিসের আনুমানিক ৬০ – ৬৫ জন সিনিয়র সিটিজেনগণ। যাদের মধ্যে অনেকেই শান্তিপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম অন্যান্য এলাকার দূর দূরান্ত থেকে এক দেড়শ টাকা ভাড়া দিয়ে শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও উপস্থিত হন নিজেদের অধিকারের টাকা তুলতে। অথচ পোস্টমাস্টার একটাই যুক্তি লিঙ্ক না থাকলে আমরা কি করবো?
শুধু একথা বলেই বছরের পর বছর বিভিন্ন পোস্টমাস্টার দায় সারছেন। বয়সজনিত কারণে কারণে তাদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলন করার মানসিক দৃঢ়তাও অনেকে হারিয়েছেন। তা বলে তাহলে এভাবেই কি, সংসার খরচের টাকা পেতে কখনো সারাদিন কখনো বা পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে? কল্যাণী প্রধান পোস্ট অফিসের আগের মতোই বিষয়টি দেখছি বলে দায় সেরেছেন ।
শান্তিপুরে পেনশন অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের বাৎসরিক সম্মেলন হলেও পেনশন হোল্ডারদের সমস্যা নিয়ে তাদের সদর্থক কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।