জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের মেয়াদ উত্তীর্ণ অসমাপ্ত কাজ পুজোর আগেই সমাপ্ত করার নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

Social

মলয় দে নদীয়া :- হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গত ১৯শে এপ্রিল ২০২২ এর মধ্যেই বারাসাত থেকে কৃষ্ণনগর জাতীয় সড়কের কাজ শেষ করার নির্দেশ ছিল।রাস্তা সম্প্রসারণের এবং মেরামতির কাজ। পুজো এগিয়েও আসলেও, এখনো বিশবাঁও জলে রাস্তার কাজ এমনটাই অভিজ্ঞতা পথচারীদের। বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা জানিয়েছেন রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য খোঁড়াখুড়ি এবং অর্ধ সমাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের ভুল পথে যেতে হচ্ছে কোথাও বা দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে।নদীয়া রানাঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা বিভিন্ন জায়গায় অত্যন্ত খারাপ অবস্থা।

এ বিষয়ে একটি মামলায় সড়ক কতৃপক্ষের তরফে আদালতে জানান হয় এন্টিপিসি ছাই দেবে বলে জানায়,কিন্তু শেষ ৪ মাস ছাই ঠিক মত দিতে পারছে না। মামলাকারীরা অভিযোগ করে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কনট্রাকটরদের উপর হামলা হচ্ছে। এই ব্যাপারে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার,এডিশিনাল এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে যথেষ্ট পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু সেক্ষেত্র খুব বেশি সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে চলতি বছরে ২৫৬ মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় ১১৭ জন মারা গেছে রাস্তা খারাপ থাকার জন্য।রানাঘাট, আমডাঙা, আর কৃষনগরের প্রায় ১৯ কিলোমিটার রাস্তা যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে রানাঘাট, বারাসাতে পুজার সময় যাতে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা যথাযথ হয় পুলিশকে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে সব পক্ষকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সড়ক সম্প্রসারনের কাজের ব্যাপারে।

এ বিষয়ে শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ সংক্ষেপের সুরে বলেন, রাজ্য সরকার জমি দেওয়া সত্ত্বেও , সঠিক তৎপরতার অভাবে মানুষের ভোগান্তি। মাঝেমধ্যেই শান্তিপুর শহর সংলগ্ন বাইপাস চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে তার ফলে শহরের মধ্য দিয়ে ভারী ভারী যানবাহন গিয়ে ক্ষতি হচ্ছে রাস্তার। মানুষের জন্য তা মেনে নিলেও পুজোর মধ্যে রাস্তার কাজ সমাপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনিও। সংসদ জগন্নাথ সরকার, অবশ্য বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বকে দোষারোপ করেছেন, তিনি বলেন রাস্তার কন্ট্রাক্টর কর্মীদের বিভিন্ন লাঞ্ছনা গঞ্জনার শিকার হতে হয়েছে তৃণমূলের প্রশ্রয়ে। সেখানেও তোলাবাজির হুমকি শোনা যায় মাঝেমধ্যেই। কিছু কিছু এলাকায় পুনর্বাসন দেওয়া সত্ত্বেও জাতীয় স্বার্থে দোকান ঘর বাড়ি সরিয়ে নিয়ে যেতে কাল বিলম্ব করেছেন তৃণমূলের প্রশ্রয়ে। যার ফলেই এই দেরি। তবে এবছর বর্ষা কম থাকলেও , বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কয়েকটি এলাকায় কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। তবে মেরামতির কাজ বন্ধ নেই, সম্প্রসারণের কাজ চলছে দ্রূততার সাথেই।

Leave a Reply