সোশ্যাল বার্তা: নির্মল বিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বিভিন্ন বিষয়ের প্ল্যাকার্ড হাতে পদযাত্রায় সামিল হতে দেখা গেল।
বৃহস্পতিবার নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ২নং ব্লকের ধুবুলিয়া শ্যামাপ্রসাদ শিক্ষায়তন এর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পদযাত্রা সামিল হয়েছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। জানা যায় রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে ১৫ দিন ধরে চলবে নির্মল বিদ্যালয় পক্ষিক কর্মসূচি।
খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, বাড়ি থেকে শুরু করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের সকলেরই ভূমিকা রয়েছে। পড়ুয়া-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে নির্মল বিদ্যালয় অভিযান কর্মসূচির নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে চলবে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের প্রার্থনার সময় এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহম্মদ খান।
তিনি জানান বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা দল গঠন করে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে এবং তাতে সহযোগীতা করবেন শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবহার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ শিক্ষকদের নেতৃত্বে এলাকার কতগুলি পরিবার সুলভ শৌচাগার ব্যবহার করেন সেই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা প্রধানের কাছে তুলে ধরবে ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুল-পড়ুয়াদের বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে কি-না, সেসব তথ্য নিয়ে যদি না থাকে তাহলে বাড়িতে শৌচাগার তৈরির জন্য পড়ুয়াদের মাধ্যমে অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে হবে।
জাতীয় সেবা প্রকল্প (NSS) ও সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর (NCC) সদস্যরা পদযাত্রা অংশগ্রহণ করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার কি সেই বিষয়ে লিফলেট বিলি করা হয়।
শুক্রবার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায় তা আলোচনা করা হয়। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি ক্লাসের দু জন করে প্রতিনিধি এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বিদ্যালয়ের এই ভূমিকায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।