মলয় দে নদীয়া :- নদীয়ার শান্তিপুর নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা সোনা শর্মা পেশার অঙ্কন শিল্পী। তবে চুক্তিভিত্তিক একটি বিদ্যালয়ে কাজ করেন। বর্তমান রাজ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন স্থায়ী হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। তাই তিন বছর আগেই, আঁকা শেখানোর সাথে সাথেই, বাণিজ্যিক ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন বিছানার চাদর শাড়ি পাঞ্জাবি দরজা জানালার পর্দা নানান ব্যবহারিক পোশাক এবং উপকরণে।
তবে তার পরিধি ছিল শুধু শান্তিপুর, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ভর করে ব্যপ্তি ঘটেছে রাজ্যব্যাপী। ক্রিসমাস, জন্মাষ্টমী সরস্বতী পুজো পয়লা বৈশাখ নানান ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে কখনো ক্রেতাদের দেওয়া বিষয় কখনো বা নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন বিষয় রং তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন শিল্পী সোনা শর্মা। গত বছরেও আমরা বিভিন্ন শাড়ির উপর এ ধরনের শিল্পকর্ম লক্ষ্য করেছিলাম তবে এবার, শুধুই পাঞ্জাবি, টি শার্ট। দেবদেবীর ছবি দেহের বিভিন্ন অংশে লেগে থাকা এবং যত্রতত্র ব্যবহারের সমালোচনা কিভাবে নেন ক্রেতারা ?তার প্রশ্নের উত্তরে শিল্পী জানান, প্রথম প্রথম কিছু আপত্তি থাকলেও বর্তমানে উৎসবের উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে। পুজো ধর্মীয় বিশ্বাস আর উৎসবের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান দেখেন শিল্পী, সাথে উদার মনের ক্রেতারাও ।
তবে শুধু শিল্পী সোনা শর্মা একা নন, বর্তমানে তার তিনশত ছাত্রছাত্রীর মধ্যে অনেকেই এইকাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন। এবং তা থেকে উপার্জনের ফলে, অন্যরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে। আগামী দিনে তাদের নিয়ে একটি কর্মশালা করার ইচ্ছা রয়েছে শিল্পীর।