প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যাজিক শো ! চারাগাছ প্রদান এবং বাচ্চাদের শারিরীক পরিক্ষা 

Social

মলয় দে নদীয়া :-করোনা পরিস্থিতি এবং তার পরবর্তী সময়ে গ্রীষ্মকালীন দীর্ঘ মেয়াদী ছুটিতে সম্পূর্ণ বন্ধ ছিলো বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে কচিকাচারা। তাদের উদ্বুদ্ধ করতে, এবং বিদ্যালয়ের মুখী করে তুলতে, শান্তিপুর শহরের দূর্গা মনি শ্রী পাঠশালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুদিন ব্যাপী নানান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বন মহোৎসব সপ্তাহ উপলক্ষে।

আজ শুভ সূচনা হিসাবে, দুই পিরিয়ড পড়াশোনা করার পর একটি ম্যাজিক শো এর ব্যবস্থা করা হয়েছিলো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর উদ্যোগে। রুমাল থেকে ফুল, দুধ থেকে কাগজের ছানা এবং তা থেকে নানান রকমারি মিষ্টান্ন তৈরি, শরীরের যে কোন অংশ স্পর্শ করে দশ টাকা পাঁচ টাকার কয়েন একশ,পাঁচশ র নোট তৈরি করা দেখে বেজায় খুশি ক্ষুদে পড়ুয়ারা। ম্যাজিশিয়ান বলেন কোন কিছুই মন্ত্র তন্ত্র বা বুজরুকি নয়, বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে তা করা সম্ভব বুঝিয়ে বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে থেকেও ম্যাজিক দেখানোর ইচ্ছা এবং সৃজনশীলতা কথা গড়ে ওঠে।

শিক্ষিকারা বলেন সরকারি পরিকাঠামোর মধ্যে থেকেই, কখনো কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে কর্মসূচি নিয়ে থাকেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অনুমতিক্রমে। আগামীকাল শিশুদের মেডিকেল চেকআপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিভাবকরাও
অভিভূত হয়েছেন এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বিদ্যালয় পঠন পাঠনের সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন দেয়াল চিত্র অংকন এবং ল্যাপটপ ডেস্কটপ শিক্ষা উপযোগী নানান পরিকাঠামোর জন্য। মিড ডে মিলে উন্নত মানের প্রিয় খাবার দাবার রান্না হয়, কখনো গ্রীষ্মকালীন ফলাহারে অভিভূত তারাও। তাই ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় থেকে কোনো অংশেই শিক্ষণ পদ্ধতি অন্যান্য পরিষেবা আন্তরিকতা কম লক্ষ্য করেননি তারা, তাই এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপচে পড়া ভিড় তাকে ভর্তির সময়। বন মহোৎসব সপ্তাহ উপলক্ষে আজ শিশুদের মধ্যে চারা গাছ বিতরণ করতে ছুটে আসেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক। শুধু চারাগাছ বিতারণ নয়, তা বড় করলে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থাকে বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা।

Leave a Reply