মলয় দে নদীয়া :- গত ২২শে জুন ৭ই আষাঢ় রাত ৮.১৯ শুরু হয়েছিল একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম আসামে “অম্বুবাচি” মা কামাখ্যার পূণরায় পুজো শুরু হয়, ২৬শে জুন ১১ ই আষাঢ় আজ সকাল ৮.৪৩ মিনিট পর্যন্ত। অঙ্গচ্ছেদের সময় এই স্থানে দেবীর যোনি পড়েছিলো বলেই কথিত আছে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে প্রতিবছর আষাঢ় মাসের ৭ তারিখ অম্বুবাচী পালিত হয় শাস্ত্র মতে সূর্য যে বারে ও যে সময়ে মিথুন রাশিতে গোচর করে তার পরের দিন সেই বারই পালিত হয় অম্বুবাচী। আছে কথিত আছে কিসের বার কিসের তিথি আষাঢ়ের ৭ তারিখ অম্বুবাচী।
আষাঢ় মাসের মৃগশিরা নক্ষত্র তিনটি পর্যায়ে শেষ হলে ধরিত্রী ঋতুমতী হন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এসময় ধরিত্রী ঋতুমতী হন বলেই শস্য-শ্যামলা হয়ে ওঠে বসুন্ধরা তাই অম্বুবাচী সময় হাল ধরাও নিষিদ্ধ। এই তিনদিন সময় কোন শুভ অনুষ্ঠান করা হয় না, বিবাহ উপনয়ন এমনকি কোনো মন্দিরেও প্রবেশ করা যায় না।
এই পূজায় মায়ের কাছে কিছু চাইলে তার সব ইচ্ছে পূরণ করেন মা এমনটাই বিশ্বাস ভক্তবৃন্দ দের। কালা যাদু খ্যাত কামাখ্যা সকলের প্রিয়।
অসমের কামাক্ষ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে উৎসব পালন করা হয়।
শাস্ত্রমতে অম্বুবাচীর ৩ দিন সর্বপ্রকার মাঙ্গলিক এবং শুভ কর্ম যেমন বিবাহ, উপনয়ন, অন্নপ্রাশন, গৃহ প্রবেশ, গৃহ আরম্ভ ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত। কৃষিকার্য সংক্রান্ত কোনও কাজ এই সময় করা হয় না। চতুর্থ দিন থেকে কোনও বাধা থাকে না।
এ সময় দেবী মূর্তি বা পট লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা থাকে। আজ তা উন্মুক্ত করে ওই শুভ লাল কাপড় হিসাবে অনেকেই পেতে আগ্রহী থাকেন ভক্তবৃন্দ দের মধ্য থেকে। মৃন্ময়ী মূর্তি হলে আনুষ্ঠানিকভাবে, পাথর বা ধাতব ও মূর্তি হয়ে থাকলে পকিতি পক্ষেই মাকে স্নান করিয়ে শুদ্ধ বস্ত্রে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা হয় আজ। আর সেই উপলক্ষে দুপুরে অন্নভোগ, এবং নানান উপাচার করা হয়ে থাকে। বছরে এই তিনদিন বেশিরভাগ কালী মন্দিরে পূজো পার্বণ বন্ধ থাকে।