মলয় দে নদীয়া:- বহু প্রাচীনকাল থেকেই সঙ্গীত এবং সংস্কৃতি চর্চার পীঠস্থান নদীয়ার শান্তিপুর। থিয়েটার থেকে বাদ্যযন্ত্র সংগীত থেকে নৃত্য সবেতেই বহু গুণী শিল্পী সংস্কৃতি জগতে স্বনামধন্য । এই সুখ্যাতি আজও বহন করে চলেছেন এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা। শিল্পচর্চার বিভিন্ন সংস্থা বিদ্যালয় এর মধ্যে শান্তিপুর রাগিনী অন্যতম। ভোকাল, সন্তুর, সারেঙ্গী, হারমোনিয়াম, তবলা, কথ্থক শেখানোর সাথে সাথেই ছাত্র-ছাত্রীদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সমন্বয়কারী ইংরেজি শেখানো হয় প্রান্তিক পরিবারের প্রতিভাবান মেধাবী শিল্পীদের সম্পূর্ণ অবৈতনিক ভাবে। এই দুই বিষয়েই সারা বছর ধরে বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে শতাধিক সদস্যের সহযোগিতায়। প্রতিবছরের মতো এবছরও 30 শে এপ্রিল এবং পয়লা মে দু’দিনব্যাপী ১৭তম শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন শান্তিপুর রাগিণীর কর্মকর্তারা ।
পূর্বে কলকাতা পাঞ্জাব এমনকি সুদূর কানাডা থেকে পর্যন্ত শিল্পী রা আসতেন। তবে করোনা পরিস্থিতির পর এবছর শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরী হলে সম্পূর্ণ রাগিনীর শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিবেশিত হয়েছে দু দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। উদ্বোধন করেন সংস্থার সভাপতি অনন্ত কুমার ঘোষ এবং প্রবীণ সদস্য তপন দাস। শ্রদ্ধা জানানো হয় সদ্যপ্রয়াত পণ্ডিত বিরজু মহারাজ, পন্ডিত শুভঙ্কর ব্যানার্জি, পন্ডিত আনন্দ গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়, পন্ডিত রাজন মিশ্র, পন্ডিত বিজয় মিশ্র, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, এবং বাপ্পি লাহিড়ীর প্রতি।
সংবর্ধিত করা হয় শান্তিপুরেরই দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে সঙ্গীতচর্চা করা গুণী শিল্পী সুনীল বঙ্গ কে। ১৭ জনের কোরাস দলের সমবেত সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কথ্থক পরিবেশন করেন রায়া ভট্টাচার্য, সন্তুর পরিবেশন করেন বনানী দাস, চতুরঙ্গী পরিবেশন করেন বাবুসোনা বসু। ভোকাল শিল্পীরা ছিলেন শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দীপ সেন, অঞ্জনা দত্ত, মৌসুমী ধন্বন্তরি, সিমরন দাস, শ্রদ্ধা বসাক প্রমুখ।
অত্যন্ত উচ্চমার্গের মনোজ্ঞ এই শাস্ত্রীয় সংগীত সম্মেলন হাজির ছিলেন শান্তিপুরের বহু সংস্কৃতি প্রেমিক সাধারণ মানুষ এবং গুণীজন।